শাহাদাত হোসেন,জেলা প্রতিনিধিঃ কালিগঞ্জের পল্লীতে যৌতুকের সামর্থ না থাকায় ৩ সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে তানিয়া। সে উপজেলার
দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের বেড়াখালী গ্রামের আকবর মোড়লের বড় মেয়ে।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে,
স্বামীর দাবীকৃত যৌতুক দিতে না পারায় গত এপ্রিল মাসে তাকে বেধড়ক মারধর করে বড় ছেলে মোজাহারুল ইসলামকে (৭) রেখে দুই সন্তানসহ ঘর থেকে বের করে দেয় স্বামী।আর দুই সন্তান আজহারুল ইসলাম(২)ও চার মাসের শিশু কন্যা মনিরাকে নিয়ে এখন বাপের বাড়িতে অবস্থান করছেন হতভাগা তানিয়া। গত ২৯/১০/২০১২ তারিখে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্ধকাটি গ্রামে মো.নুরুল ইসলাম সরদারের ছেলে মনিরুল ইসলামের সঙ্গে
তানিয়ার বিয়ে হয়। বিয়েতে মেয়ের বাবা আকবর মোড়লের কাছে যৌতুক হিসাবে নগতে ৫০ হাজার টাকা, ৬ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের আংটি, মোবাইল ফোন, সাইকেল ও একটি গরু দাবি করেন। দিনমজুর আকবর তার মেয়ে তানিয়ার সুখের কথা চিন্তা করে তিনি বিয়ের দিন নগদে তার জামাইকে সাধ্যমত দিয়েছিলেন। বিয়ের পর ভালোই চলছিল তাদের সংসার। এরই মধ্যে ৩ সন্তানের মা হন তানিয়া।কিন্তু কয়েক বছর ধরে অর্থলোভী স্বামী মনিরুল আবার এক লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতে শুরু করে।
হতভাগ্য তানিয়া জানান,আবার ১ লক্ষ টাকা যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তার প্লাস দিয়ে পায়ের নখ তুলে দেয় ও প্লাস দিয়ে সারা শরীরে আঘাত করে ও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় ।শশুর আর শাশুড়ি তার ছেলের পক্ষ হয়ে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করত বলে জানায় তানিয়া। এক পর্যায়ে তার বড় ছেলেকে মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে ছোট ছেলে ও মেয়েকে কাছে দিয়ে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে দুই ইউনিয়ানের ইউপি সদস্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে কয়েকবার শালিশের মাধ্যমে মীমাংসা হয়। মনিরুল তার স্ত্রী ও সন্তানদের বাড়ি নিয়ে আসে এর পর কিছু দিন না যেতেই দিন দিন নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় সে সংসারের প্রতি খেয়াল রাখে না। রাতে বিভিন্ন জায়গায় জুয়া খেলে বেড়ায় জানতে চাইলে সে আমার পরে নির্যাতন চালায় একপর্যায়ে আমার শ্বশুর ও শাশুড়ির কুপরামর্শে সে আমাকে বালিশ চাপা দিয়ে মারা ষড়যন্ত্র করে।এই বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু বিচারের জন্য তানিয়া স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবো।তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দুই সন্তান নিয়ে তাদের অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।৪ মাস ধরে স্বামী তাদের কোনো খোঁজখবর রাখছেন না, টাকা-পয়সাও দিচ্ছেন না।আমার শ্বশুর নুরুল ইসলাম সরদার ও শাশুড়ি মুঞ্জিলা বেগম টাকার লোভে তার ছেলেকে অন্য কোথাও বিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীর আগের পক্ষের এক সন্তান রয়েছে।আমার স্বামী মনিরুল বিয়ে করে এখন ঢাকাতে থাকে আমি ফোনে তার সাথে যোগাযোগ করলে সে আমাকে বলে আমি তোকে তালাক দেবো তুই আমার সঙ্গে কোন প্রকার যোগাযোগ করবি না।আর যোগাযোগ করলে বলে তোর আর ছেলে মেয়ে পরিণতি খুব খারাপ হবে তার ফোনে কল করলে এখন আর মোবাইল ফোন রিসিভ করেনা।আমি ছেলে মেয়েদের নিয়ে দুর্বিষহ অনাহারে জীবন যাপন করছি আমার দেখার কেউ নাই।আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই আমার অধিকার আমি ফিরে পেতে চাই।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।