নিউজ ডেস্ক : নিজের নামও লিখতে পারেন না আবু বকর সিদ্দিক নামে এক ব্যক্তি। পড়তেও পারেন না। অথচ নিজেকে পরিচয় দেন বিচারক হিসেবে। জাতীয় জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে বিচারক পরিচয়ে সংগ্রহ করেন পুলিশের মোবাইল ফোন নম্বর। পরে তাদের ফোন দিয়ে ওই একই পরিচয় দিয়ে নানারকম তদবির করেন। অবশ্য রাজধানী থেকে কথিত সেই বিচারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ২০ বছর বয়সী আবু বকর সিদ্দিকের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার পাংশায়। বাস করেন ঢাকা জেলার আশুলিয়ায়। পুলিশের হাতে গ্রেফতারের একদিন আগেও তিনি নিজেকে পরিচয় দিতেন একজন বিচারক হিসেবে। গত কয়েক মাসে এ পরিচয়ে তিনি ফোন দিতেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ কর্মকর্তাদের। তার প্রতারণার কৌশল ছিল ভিন্ন। রাস্তায় নিদিষ্ট কোনো গাড়ি টার্গেট করে তিনি ফোন দিতেন দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকে। বলতেন গাড়িটিকে আটকানোর জন্য। পরে মালিকের কাছ থেকে কৌশলে আদায় করতেন টাকা। অসংখ্য অভিযোগের পর ঢাকা জেলার গোয়েন্দা পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন আবু বকর সিদ্দিক।
ঢাকা জেলার গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশশিরা হাবিব খান সময় সংবাদ বলেন, প্রথমে সে জজ পরিচয় দেয়। এরপর ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে এলাকাভিত্তিক পুলিশ কর্মকর্তাদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। তদন্তে সবকিছু বের হয়ে এসেছে। সে আসলে অত লেখাপড়াও জানে না, নামটাও ঠিক মতো লিখতে পারে না। কোথাও না কোথাও থেকে সে এ ধরনের প্রতারণা শিখেছে।
তিনি জানান, কী কারণে সিদ্দিক নিজেকে বিচারক পরিচয় দিতেন, তার কারণ অনুসন্ধান করছে পুলিশ।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।