এম,কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ শ্যামনগরে জমা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে ৪ জন মারাত্মক হয়েছে। আহতরা হলেন-মঠবাড়ী গ্রামের গোলাম গাজীর ছেলে মহাসীন গাজী(৪৫)মনিরুল গাজী(৩৫)মহাতাব গাজীর স্ত্রী মাহমুদা খাতুন(৩৫) ও মনিরুল গাজীর স্ত্রী আমেনা বেগম(২৮)।
এ ঘটনায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের মঠবাড়ী গ্রামের মোঃ গোলাম গাজীর ছেলে মহাসীন গাজী বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে শ্যামনগর থানায় এজাহার দাখিল করেছেন।আসামীরা হলেন, মঠবাড়ী গ্রামের সোনাউল্যাহ গাজীর ছেলে আমির আলী (৪৭) এরশাদ গাজীর ছেলে আব্দুল হক(২৫),হায়দার আলী(৩২),মৃত সোনাউল্যাহ গাজীর ছেলে এরশাদ গাজী(৫৫), আমির গাজীর মেয়ে মোছাঃ আকিয়া সুলতানা-বৃষ্টি(২২),স্ত্রী মোছাঃ আকলিমা বেগম(৩৫),এরশাদ গাজীর স্ত্রী মোছাঃ হালিমা খাতুন(৫৪)।
এজাহার সূত্রে প্রকাশ,উল্লেখিত আসামীগন অতীব দুদস্ত দুধর্ষ,ভূমিদস্যু,লাঠিয়াল বাহিনী সন্ত্রাসী প্রকৃতির এক দলীয় লোক। আসামীগনের সহিত গৌরিপুর মঠবাড়ী মৌজায় আমার ক্রয় কৃত দখলীয় মৎস্য জমি - জমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতা রহিয়াছে। উক্ত সম্পত্তির মধ্যে আসামীপক্ষের কিছু সম্পত্তি রয়েছে মর্মে দাবী করে তারা সম্পূর্ন নিছক গায়ের জোরে অন্যায় ভাবে জবর দখলের চেষ্টায় লিপ্ত থেকে আমাদের কে দখলচ্যুৎ করার জন্য তারা বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসিছে। এই নিয়ে বলতে গেলে প্রায় সময় আসামীগন কারনে অকারনে ঝগড়া বিবাদ করে আমাকে সহ আমার পরিবার কে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ মারধর করে থাকে।
এর ধারাবাহিকতায় শনিবার ৩০ অক্টোবর সকাল অনুমান ৭.৩০ মিনিটে ধারালো দা,লোহার রড,জিআই পাইপ,শাবল ও বাশেঁর লাঠি নিয়ে আসামীগন আমার বাড়ীর পশ্চিমে পাশে জমিতে জনতাবদ্ধ হয়ে আমার দখলীয় সম্পত্তিতে অন্যায় অনাধিকার প্রবেশ করে জোর পূর্বক দখল করে ভেড়ী বাধ দিতে থাকে।তখন আমি কাজে বাধা প্রদান করিলে আসামীগন আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। তখন কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ৫ নং ও ৬ নং আসামীর হুকুমে ৪ নং আসামী আমাকে বাশেঁর লাঠি দ্বারা এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে। তখন আমার আপন ভাই মনিরুল ইসলাম (৩৫) আমাকে ঠেকানোর জন্য ছুটে আসিলে ২ নং আসামী আমার ভাই কে হত্যার উদ্দেশ্য জিআই পাইপ দা দ্বারা আমার ভাইয়ের মাথায় আঘাত করে । উক্ত আঘাত আমার ভাই ৰাম হাত দিয়ে ঠেকাইতে গেলে বাম হাতের তর্জনী আঙ্গুলে লাগিয়া গুরুত্বর হাড়ভাঙ্গা রক্তাক্ত জখম হয় মাটিতে পড়ে যাই। তখন ৪ নং আসামী আমার ভাইয়ের গলায় রশি পেছিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে । তখন আমার বড় ভাই মো : মহাতাব এর স্ত্রী মাহমুদা খাতুন (৩৫) ঠেকাইতে আসিলে ৩ নং আসামীর হাতে থাকা ধরালো দা দ্বারা মাথ্য উদ্দেশ্য করে কোপ মারে । উক্ত কোপ মাহমুদার বাম হাতের কবজির নিচে লাগিয়া হাড়কাটা রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায় । তখন আমাদের ঠেকানোর জন্য আমার ভাই মনিরুল এর স্ত্রী মোছাঃ জামেনা বেগম (২৮) ছুটে আসিলে ১ নং আসামী আমার ভাইয়ের স্ত্রী আমেনা কে হত্যার উদ্দেশ্য মাথা লক্ষ্য করে শাবল দ্বারা আঘাত করে। উক্ত আঘাত লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়া আমার ভাইয়ের স্ত্রীর আমেনার ডান হাতের তালু ও কনিষ্ট আঙ্গুলে লাগিয়া গুরুত্বর হাড়ভাঙ্গা রক্তাক্ত জখম হয় । ঐ সময় ২ নং আসামী অসৎ উদ্দেশ্যে আমার ভাইয়ের স্ত্রী আমেনা বেগমের পরনের কাপড় - চোপড় ধরে টানা হেচড়া করে বে - আফ্র করতঃ শ্লীতাহানি ঘটায় । ঐ সময় ৫ নং আসামী আমার ভাবি মাহমুদা খাতুন এর গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন যাহার মূল্য ৩০,০০০ টাকা কেড়ে নেয় । তখন ৫,৬ ও ৭ নং আসামী আমার ঘরে ঢুকে আমার ঘরের আসবাপত্র ভাংচুর করিয়া ৮০০০০ টাকার ক্ষতিসাধন করে । ঐ সময় ১ নং আসামী আমার ঘরে থাকা রক্ষিত ট্রাংক ভেঙ্গে নগদ ৪৫,৫০০ টাকা নিয়ে নেয় । তখন ২ নং আসামী আমার ভাই মনিরুল,মনিরালের স্ত্রী আমেনা খাতুন ও আমার ভাবি মাহমুদা খাতুন কে লোহার রড দ্বারা এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত ফোলা জখম করে। অতপর আমাদের ডাকচিৎকারে স্বাক্ষী সহ আরোও অনেকে ছুটে আসিলে আসামীগন বিভিন্ন খুন জথম সহ প্রান নাশের ভয়ভীতি হুমকি দিতে দিতে চলে যায় । তখন এলকাবাসী আমার আই মনিরুল , মনিরুলরে স্ত্রী আমেনা ও আমায় ভাবি মাহমুদা খাতুন কে মারাত্নক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি এবং আমি প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা গ্রহন করি।
এবিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহেদ মূর্শেদ জানান, আমি এজাহার পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে অব্যহত রয়েছে
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।