এম কামরুজ্জামানশ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃসাতক্ষীরা'র শ্যামনগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রেসক্লাবের কেয়ারটেকর আল মামুন বাদশার পরিবারের উপর হামলায় আহত স্ত্রী মরিয়ম খাতুন (২৬) ও মেয়ে শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।এ ঘটনায় উপজেলা ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের শ্রীফলকাটি গ্রামের মোশারফ গাজীর ছেলে আল মামুন বাদশা সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞত নাম করে শ্যামনগর থানায় এজাহার দাখিল করে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামীগণ কলহ প্রিয়, ঝগড়াটে, দুর্দান্ত ও দুর্ধষ প্রকৃতির। আসামীদের বাড়ী ও বাদীর বাড়ী একই সাকিনে এবং পাশাপাশি। ১নং আসামী মজিদ খা তার বাড়ীর সামনে চা,পান, বিড়ি, সিগারেটের দোকান আছে। বাদী শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের কেয়ারটেকর হিসাবে চাকুরী করে। প্রতিদিনের ন্যায় বাদী সোমবার সকালে বাড়ী হতে প্রেসক্লাবে আসে। বাদী আসা যাওয়ার পথে প্রায় সময় ১নং আসামীর দোকানে চা খাই। একপর্যায়ে ১নং আসামীর দোকানে আমার কিছু টাকা বাঁকী হয়। বাদী সময় সুযোগের কারণে পাওনা টাকা ১নং আসামীকে দিতে পারি নাই। বাদী বাড়িতে না থাকার কারণে ১নং আসামী বাদীর বাড়ীতে টাকার তাগেদায় আসে। আমাকে না পেয়ে গালমন্দ করে এবং ভয়ভীতি দেখায়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাদী বাড়ীতে এসে ১নং আসামীর উক্তরুপ ব্যবহারের কথা শুনে তার সাথে দেখা করতে তার দোকান বাঁকীর টাকা দিয়ে বলে।
সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর তারিখ সকালে বাদী প্রতিদিনের ন্যায় আমার কর্মস্থল শ্যামনগর প্রেসক্লাবে এসে কাজে নিয়োজিত হই। বিকাল অনুমান ৩ ঘটিকার সময় উপরোক্ত আসামীগণ সহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন হাতে লাঠি,লোহার রড ইত্যাদিতে সজ্জিত হয়ে বাদীকে গালিগালাজ করতে করতে বাদীর বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করে। এ সময় আমার স্ত্রী মরিয়ম খাতুন (২৬) আসামীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে পরস্পর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ১নং আসামীর হুকুমে সকল আসামীগণ লাঠি, লোহার রড দ্বারা বাদীর স্ত্রীকে যে যার মত মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে। ১নং আসামী তার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা খুন করার উদ্দেশ্যে আমার স্ত্রীর মাথার পিছনে আঘাত করে মাথা ফাটা গুরুতর জখম করে। এ সময় আমার স্ত্রী পড়ে যায়। তখন অন্য আসামিরা বাদীর স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তাদের হাতে থাকা লাঠি দ্বারা স্ত্রীকে মারপিট করে। ফলে বাদীর স্ত্রীর ডান হাতে কনুইতে হাড় ভাঙ্গা জখম সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট জখম হয়।
আসামিরা বাদীর স্ত্রীর পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে ছিড়ে বেসামাল ও বেআক্র করত শ্লীলতাহানী ঘটায়। সুযোগ বুঝে ২নং আসামী স্ত্রীর কাছে থাকা ১টি টাচ মোবাইল সেট মূল্য অনুমান ৩৫ হাজার টাকা। আসামীগণ বাদীর বসত ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে ঘরের মধ্যে থাকা আসবাবপত্র মালামাল ছড়িয়ে তছনছ করতঃ অনুমান ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। ১নং আসামী আমার ঘরের মধ্যে থাকা টিনের বাক্সের তালা ভেঙ্গে বাক্সের মধ্যে রক্ষিত নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও ৬আনা ওজনের একজোড়া স্বর্নের দুল মূল্য অনুমান ২৮হাজার টাকা নিয়ে নেয়। আসামীদের উক্তরুপ কর্মকান্ড দেখে এবং আমার স্ত্রীর ডাকচিৎকার শুনে সাক্ষীগন এগিয়ে আসতে থাকলে আসামীগণ বিভিন্ন প্রকার খুন জখমের ভয়ভীতি সহ হুমকি ধামকি দিতে দিতে চলে যায়। বাদী সংবাদ পেয়ে বাড়ীতে যেয়ে আমার স্ত্রীকে গুরুতর জখম অবস্থায় দেখি। তার এবং সাক্ষীদের মুখে উক্ত ঘটনার বিস্তারিত শোনাবুঝা করি। পরবর্তীতে গ্রীকে গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসার জন্য শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করি।এ ঘটনায় শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।