এম,কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃসাতক্ষীরা'র শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের একাধিক মামলার আসামি দেলোয়ার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে গৌরিপুর গ্রামের মৃত নূর আলী গাজীর ছেলে মোঃ আবু তালেব বাদী হয়ে থানায় এজাহার করেছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়,একাধিক মামলার আসামি চাঁদাবাজ,সন্ত্রাসী দেলোয়ার বাহিনীর তান্ডবে আমি সহ সিরাজপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন,গৌরিপুর গ্রামের মৃত এফাজতুল্লাহ মল্লিকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন, দেরাজতুল্লাহ মল্লিকের ছেলে মিজানুর রহমান,মতিউল্লাহ মল্লিকের ছেলে পানাউল্লাহ মল্লিক,ফেরাজতুল্লাহ মল্লিকের ছেলে আকরাম হোসেন সহ ৫/৬ জন।আরও জানা যায়,উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা দুর্দান্ত দুর্ধর্ষ প্রকৃতির গুন্ডা ব্যক্তি হইতেছে, আমার সিরাজপুর বাজারে মিসেস মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ নামক মুদির দোকান আছে। বিভিন্ন সময় আমার কাছে দেলোয়ার সন্ত্রাসী ও বাহিনীর সদস্যরা চাঁদা দাবি করে।
আমি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় সন্ত্রাসী দেলোয়ার অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ মারধর করতে উদ্যত হয়। উল্লেখিত বাহিনীর নামে একাধিক চাঁদাবাজি মামলা আছে।
গত সোমবার ৪টা এপ্রিল দুপুর ১.৩০ মিনিটে আমি জোহরের নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদের সম্মুখে গেলে সন্ত্রাসী দলের বাহিনীর সদস্যরা আমাকে আটকাইয়া অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে,আমি তার প্রতিবাদ করিলে সন্ত্রাসী গ্রুপ আমার শরীরে বিভিন্ন স্থানে চড় কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে। বাহিনীপ্রধান সন্ত্রাসী দেলোয়ার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা আমার পায়ে আঘাত করে এবং আমার ডান পায়ের আংগুলে লাগিয়া রক্তাক্ত ফুলা জখম হয়। সন্ত্রাসীরা আমাকে মুখে লক্ষ্য করে ঘুসি মারে দাঁতভাঙ্গা জখম করে এবং আমার গলায় দুই হাত দ্বারা শ্বাসরুদ্ধ পূর্বক হত্যার চেষ্টা করে আমার পরিহিত কাপড় টানাহেঁচড়া করে। আমার ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলেন সন্ত্রাসী বাহিনীরা তাৎক্ষণিক এলাকা ছেড়ে দেয়।এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।