এম কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা'র শ্যামনগর পৌরসভার খানপুর নামক স্থানে পূর্ব শত্রুতা জের ধরে মারপিটে ইছাকুড় (খানপুর) গ্রামের আব্দুল বারী ঢালীর ছেলে লুৎফর রহমান বাদী হয়ে একই গ্রামের করিম বক্স গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম রফিকুল ইসলাম ওরফে ভদো, শফিকুল ইসলাম দিং সহ মোট ১১ জনকে আসামি করে শ্যামনগর থানায় মামলা দায়ের করেছে যাহার নাম্বার-৪৯/২২১।এঘটনায় আহত তিন জন হলেন, আব্দুল বারী ঢালীর স্ত্রী ফুলি বিবি ও ছেলে ফজলু ঢালী,লুৎফর রহমান।লুৎফর রহমানের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়া খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এজহার সূত্রে জানা যায়,আসামীগণ ভূমিদস্যু,জবর দখলকারী,পরসম্পদলোভী, বেপোয়ারা, দারুন দুর্দান্ত ও দুর্ধর্ষ, গুন্ডা, লাঠিয়াল এলাকার হিংস্র প্রকৃতির ব্যক্তি। আসামীগণ এলাকায় নিরীহ লোকজনদের জমি জায়গা জবর দখল করা,মারপিট খুন জখম করা সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। তাদের অপকর্মে এলাকার নিরীহ লোকজন প্রতিবাদ করার সাহস পাইনা।আসামিগন বাদীর ইছাকুড় মৌজা,এস এ খতিয়ান নং-৭৭,৯৬ সহ অন্যান্য, এস এ দাগ নং-২০০ সহ জমির পরিমান ৪২ শতক সম্পত্তি আমার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি। উক্ত সম্পত্তির কিছু অংশে বাদী বাড়ী ঘর তৈরী করে ও কিছু অংশে বিলান সম্পত্তিতে ধান চাষবাধ করে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছে।আসামীপক্ষের বাড়ী আমার বাড়ী একই গ্রামে এবং পাশাপাশি বসবাস। আসামীগন পরসম্পদলোভী প্রকৃতির হওয়ায় বাদীর দখলীয় সম্পত্তি অন্যায়ভাবে জবর দখল করার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এবিষয়ে আসামি নামে শ্যামনগর থানায় সাধারণ ডায়রি দায়ের করেছে যাহার নাম্বার-৫৯৯।
গত ২৯ শেখ জুন বেলা ১২ টার দিকে আসামীগণ এক একজোট হয়ে ধারালো দা, লোহার শাবল, রড, হাতুড়ি, লাঠি-সোঠা নিয়ে বেআইনীভাবে আমার বসত বাড়ীতে প্রবেশ করে আসামীরা বিভিন্ন অপরাধজনক হুমকি ধামকি দিতে থাকে।আসামীগণ আমার বসত বাড়ীর সীমানার ঘেরা বেড়া ভাংচুর করে। বাদীর ভাই ফজলু ঢালী আসামীদের অন্যায় কাজে প্রতিবাদ করায় আসামীগণ তাকে লোহার রড ও লাঠি-সোট দ্বারা এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে আসামির মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলে রাখে।বাদীর বড়বোন ও মা ফুলিবিবি ভাইয়ের ডাক চিৎকারে ঘটনাস্থলে আসলে আসামিগন তাকে এলোপাতাড়ি রড দ্বারা মেরে ডান হাত ভেঙে রক্তাক্ত জখম যাপন করে এবং বাদীর স্ত্রী জোবেদা খাতুন শাশুড়ি ও নোনদ উদ্ধার করতে গেলে আসামিগন এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত যখন করে এবং বাদী লুৎফর রহমানকে বেদম মারপিট করেন ফেলে রাখে। তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে আসামিগণ ঘটনাস্থান থেকে চলে যায় এবং বলে যদি কোন মামলা মকদ্দমা করিস তাহলে তোদেরকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।ঘটনাস্থল থেকে এলাকার লোকজন বাদীকে সহ ফজলু চালী ও ফুলি বিবি কে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার দ্রুত শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। বাদীর স্ত্রী জবেদা খাতুন ও বড়বোন স্থানীয় ডাক্তার দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে। বাদীর ভাই ফজলু ঢালীর অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় কর্মরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখান থেকে তাকে খুলনায় ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
এবিষয়ে বাদী লুৎফা রহমান বলেন, আসামিগণ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তারা আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এবং আমি এখানে কিভাবে বসবাস করে তা দেখে নেবে। আসামিগণ এতই দুর্দান্ত যে বিভিন্ন সময় সরকার বিরোধী এবং নাশকতা মামলার একাধিক আসামি হইও এলাকায় ক্রাশের রাজ্য কায়েম করেছে। আমি সব আমার পরিবারের লোকজন বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আপনাদের লিখনের মাধ্যমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দৃষ্টি কামনা করছি। যাতে করে আমার পরিবার-পরিজনদের নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পৈতৃক সম্পত্তিতে বসবাস করতে পারি।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।