এম কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃসাতক্ষীরা'র শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আবাদচন্ডিপুর বনবিবিতলা গ্রামের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বংশীপুর গ্রামের আকবর সরদারের ছেলে মোঃ আব্দুল আহাদ এর মৎস্য ঘেরে সামনে নিজস্ব ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকারে শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এঘটনায় ৩ জনকে বিবাদী করে আব্দুল আহাদ বাদী হয়ে গত ১১অক্টোবর শ্যামনগর থানায় সাধারণ ডায়েরী করে।
সাধারণ ডায়রির অভিযোগে জানা যায় উপানন্দ মণ্ডল দিংদয় দুর্দান্ত ও দুর্ধর, আইন শৃঙ্খলা একদলীয় ব্যক্তি। ফে এল নং-১১৫, এস এ খতিয়ান নং-৭৩, হাল দাগ নং-১৬৪৫, জমির পরিমান ১.৫২ একর আমার ক্রয়কৃত ভোগ দখলীয় সম্প আমি কিছু অংশে বাড়ী ঘর তৈরী করে এবং কিছু অংশে মৎস্য চাষ করে মের ভেড়া করে আসতে থাকি।বিবাদীদয় পরসম্পদলোভী প্রকৃতির বিবাদীর ইন্ধনে তারা সম্পূর্ণ গায়ের জোরে অন্যায়ভাবে আমার সম্পত্তি জবর দখল করার জন্য বিভিন্নভাবে পায় ধড়যন্ত্র করে আসতে থাকে।বিবাদীগণদের বিরুদ্ধে গত ৯ অক্টোবর সকাল ৮ টায় আমার সম্পত্তির মৎস্য ঘেরের পাশে এসে আমাকে ঘের ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। বিবাদীদের কথায় প্রতিবাদ করার সাথে সাথে বিবাদীগণ আমার উপর চড়াও হয়ে মারপিট করার জন্য উদ্যত হয়। বিবাদীগণ আমার তপশীল বর্ণিত সম্পত্তি জবর দখল করে নিবে, আমাকে সুযোগ বুঝে একা পাইলে মারপিট করে খুন জখম করবে, আমি কিভাবে তাদের এলাকায় বসবাস করি বা মৎস্য ঘের চেড়ী করি তা দেখে নিবে, বসত বাড়ীতে এবং মৎস্য ঘেরে বাসায় রাতের আধারে অগুন জ্বালিয়ে পুড়ায়ে দিবে, মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে ক্ষতিসাধন করবে এবং বেশী বাড়াবাড়ি করলে সংখ্যালঘুর মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা দিয়ে বা ঘেরের বাসায় মহিলা উঠায়ে দিয়ে নারী ও শিশু মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা দায়ের করে হয়রানী সহ ক্ষতিসাধন করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি ধামকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এবিষয়ে আব্দুল আহাদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার স্ত্রীকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম
শনিবার ২১ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১.৩০ মিনিটে
বনবিবিতলা গ্রামের অভিমান্য মন্ডলের ছেলে
উপানন্দ মণ্ডল,স্বপন মন্ডল,দুলাল মন্ডল সহ ১০/১৫ জন ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে দা লাঠি, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে বেদম মারপিট করে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় আঘাত করে আমি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে, আমার স্ত্রী আমাকে ঠেকাতে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি মারধোর করে এবং আমার বসত ঘর ভাঙচুর সহ জিনিসপত্র নষ্ট করে। আমার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসীর ছুটে এসে ঘটনাস্থল থেকে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে শ্যামনগর সদর হাসপাতাল ভর্তি করে। বর্তমানে আমরা চিকিৎসাধীন আছে।
এবিষয়ে উপানন্দ মণ্ডলের কাছে মুঠোফোনে জানানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ঘরবাড়ি ভেঙে উল্টো আমাদের নামে অভিযোগ করছে। যার কোন সত্যতা নেই।এবিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালামের কাছে জানতে চাইলে আমি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।