মনিরুজ্জামান জুলেট, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা'র শ্যামনগরে নকিপুর গ্রামের মৃত ছকিমুদ্দীন গাজীর পুত্র মোঃ মোকছেদ আলী'র বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) শ্যামনগর উপজেলা শাখার "অন্যতম নেতা" এবং শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক যুব দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, বর্তমান উপজেলা বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক মৃত ছামছুদ্দীন গাজী পুত্র মোঃ জহুরুল হক আপ্পু,
শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবে বেলা ১২ :৩০ মিনিটে
সংবাদ সম্মেলন বলেন, বিগত আওয়ামী শাসন আমলে আমি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা বার বার হামলা করা হয়েছে এবং একাধিক গায়েবী ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তাহা ছাড়া আমি একাধিকবার কারা বরনের শিকার হয়েছি। নকিপুর গ্রামের মৃত ছকিমুদ্দীন গাজীর পুত্র মোঃ মোকছেদ আলী এলাকার কুখ্যাত ভূমিদস্যু হিসাবে চিহ্নিত। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ এস.এম, জগলুল হায়দারের মদদপুষ্ট চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদকসেবী ভূমিদস্যু। মোকছেদের পুত্র রহমত আলী এলাকায় এমন কোন অপরাধ ছিল না সে গুলো সে করেনি। রহমতের পিতা মোকছেদ সাবেক এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে একাধিক মানুষের কাছ থেকে জমি বরাদ্দ দেওয়া সহ সরকারি অনুদান দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিয়েছে। ইতিপূর্বে মোকছেদ আলী প্রতারনা মামলায় জেল হাজত খেটে কিছু দিন পূর্বে বের হয়েছে।
ভূমিহীণ মোকছেদের সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা মেহেদী মারুফ সহ মারুফের পিতা সুজা উদ্দীন গাজীর সঙ্গে নকিপুর গ্রামে ভূমিহীন পল্লীতে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলমান আছে। শ্যামনগর সুশীল সমাজ সবাই অবগত আছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ই আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতন হওয়ায় মোকছেদ ও মেহেদী হাসানের সহিত জায়গা জমি নিয়ে চরম দন্দ দেখা দেয়। সেই দন্দকে কাজে লাগিয়ে আমাকে সহ আমার ভাতিজা সাবেক ছাত্রনেতা ও উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক হাফিজ আল-আসাদ কল্লোল (৪০) কে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে আত্মসম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে ভূমিদুস্য মোকছেদ সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে এক মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রনোদিত সংবাদ সম্মেলন করেছে। ইতিমধ্যে আমার সহ হাফিজ আল-আসাদ কল্লোলের দৃষ্টি গোচর হয়েছে যে, সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত "দৈনিক পত্রদূত" সহ একাধিক পত্রিকায় মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করা হয়েছে সেটা সঠিক সত্যতা উদঘাটন না করে ছাপানো হয়েছে। এই মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও মিথ্যা অপপ্রচারকে আমরা তীব্র নিন্দা ও ঘৃনা ভরে প্রত্যাখান করছি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করায় আমরা মানহানীকর মামলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি।
উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক হাফিজ আল-আসাদ কল্লোল বলেন আমাদের পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসাতে মিজানুর রহমান নামে এক ছেলেকে দিয়ে আমার নাম ও আপ্পু কাকুর নাম ব্যাবহার করে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার অভিযোগ তৈরী করে। বলে দেশ নায়ক তারেক রহমানের কাছে পাঠনোর জন্য।
অতএব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করানোর লক্ষ্যে ভূমিদস্যু মোকছেদের মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। সঠিক সত্য ঘটনা উপস্থাপন ও উদঘাটন করার জন্য আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।