মোঃ আল আমিন গাজী শ্যমনগর, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:
শ্যামনগর মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নে চলিত বছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-এর খননকৃত সরকারি খাল দখলের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় ধানখালি গ্রামের সুলতান সানার ছেলে মো: মোস্তফা সানা খালটিতে নেট পাটা দিয়ে দখল করে জলবদ্ধতা তৈরি করছে।
এই খালগুলো মূলত কৃষি ভূমির জলবদ্ধতা নিরশনে বন্যার পানি প্রতিরোধের জন্য তৈরি, কিন্তু প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতা এবং স্থানীয় সিন্ডিকেটের হাতে এগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
ফলে কৃষকদের ফসল নষ্ট, জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি অগণিত।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, "এই খাল ছাড়া আমাদের জমিতে পানি নিষ্কাশন অসম্ভব। দখলের পর বর্ষায় জলাবদ্ধতায় ধান ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। বিএডিসি কেন ঘুমিয়ে আছে?" অভিযোগ অনুসারে, খালে অবৈধভাবে নেট পাটা দিয়ে পানি জলবদ্ধতা রাখা হচ্ছে , এতে খালের প্রস্থ কমে পানির প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে।
এখানে এমন ঘটনা কোনো নতুন নয়। সাম্প্রতিক এবং অতীতের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
অভিযুক্ত মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন
আমি বন্ধ ব্যবস্থা নিয়ে মাছ চাষ করছি,
মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম পল্টু বলেন, আমি কয়েক বার নেট পাটা দিতে মানা করলেওঅভিযুক্ত মোস্তফা মানতে নারাজ,কিন্তু কয়েকটি খাল উন্মুক্ত করা হইলে এই খালটি অভিযুক্ত মোস্তফার দখলে।
শ্যামনগরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রনি খাতুন বলেন , শ্যামনগরে কোনো খালের বন্ধ ব্যবস্থা নেই , জনগণের স্বার্থে উন্মুক্ত করা হবে ।
চলতি বছরের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন কয়েক টি খাল
খনন করা হলে। বর্ষার আগে খাল মুক্ত করার লক্ষ্য, কিন্তু প্রভাবশালীদের বাধা মোকাবেলা চ্যালেঞ্জিং।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।