এম কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃশ্যামনগরে উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী,মুন্সিগঞ্জ, কৈখালী,বংশীপুর হতে কালিগঞ্জ পর্যন্ত মেইন সড়কটি যেন ডাম্পার বাহিনীর দখলে।বিভিন্ন ইট ভাটায় মাটি যোগান দিতে ডাম্পার, মিনিট্রাক দ্বারা সরবরাহ করা মাটি পড়ে রাস্তায় চলাচলের বিঘ্নসৃষ্টি করছে।কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলে উন্মাদ হয়ে উঠেছে।হালকা বৃষ্টি হলেই উপজেলার মেইন সড়কটি সহ গ্রামীন রাস্তাগুলো কাঁদামাটিতে ভরে যেন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়ে থাকে।এমনকি সাধারণ মানুষকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে যেতে দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখাযায়, উপজেলার বিভিন্ন বিক্স ফিল্ডের সামনে,গোডাউন মোড় হতে নুরনগর বাজার পর্যন্ত, সোনারমোড় মৎস আড়ৎ সংলগ্ন,বংশীপুর কালভার্ট সংলগ্ন, মানিকখালী এ করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন, ভেটখালী বাজার সংলগ্ন,কৈখালী ব্রীজ হতে যাদবপুর বাজার, মুন্সিগঞ্জ সড়কে,কৈখালী বিজিবি সড়ক, সহ বিভিন্ন স্থানে ইট ভাটার যোগানকৃত মাটি মেইন সড়কে পড়ে থাকায় এ ধরনের মরণ ফাঁদ সৃষ্টি হয়ে দাড়িয়েছে। পথচারী শেখ জহির উদ্দীন রানা জানান,সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে নীরব ভূমিকা পালন করে। তাদের চোখ করেছে অন্ধ,আর কান করেছে কালা,মরন শুধু পথচারীদের। কয়েক জন পথচারীরা জানান,প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের স্বার্থ পূরণের জন্য হাজার হাজার মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে।এমন ঘটনা চলমান থাকলে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে মহাসড়কটি ওচিরে ধ্বংস হয়ে যাবে। এছাড়া মানুষের চলাচলে মরন ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। ইট ভাটায় মাটি নিয়ে যাওয়ার ফলে রাস্তাটিতে মাটি পড়ে পড়ে পাকরা পাকরা হয়ে গেছে। একটু বর্ষা হলেই যাত্রী বাহী যানবাহনগুলো সিলিপ খেয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এছাড়া ধুলাবালি ও কাঁদায় জনদূর্ভোগে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে পথচারীরা। একদিকে রাস্তায় কাঁদা বালি ও ধুলা অন্যদিকে রাস্তাটি গর্তে পরিণত হয়েছে ৷মেইন সড়কটির বেহাল দশার কারনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোগীদের উপজেলা সদর হাসপাতাল সহ অন্যান্য হাসপাতালে নিতেও অনেকটা সময়ক্ষেপন ও বেগ পেতে হচ্ছে এ্যাম্বুলেন্স ও রোগীর স্বজনদের। বাস ড্রাইভার শাহীন আলম উজ্জ্বল জানান, গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে ডাম্পার চলাচলে আমরা অতিষ্ঠ্য হয়ে পড়েছি ৷ সারিবদ্ধ ভাবে রাস্তা দখল করে চলাচল করে ৷ হর্ন দিলেও গুরুত্ব দেই না ৷ অনেক সময় তাদের খামখেয়ালির কারনে দূর্ঘটনার শিকার হতে হয় ৷
তিনি আরো বলেন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে ডাম্পার চলাচল বন্ধ করা খুব জরুরি। অপ্রাপ্ত বয়সী ছেলেরা ড্রাইভ করে থাকে ৷ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম বলেন, আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থাপনার মাধ্যমে মামলা দেওয়ার কথা হয়েছে ৷ শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জকে বলেছি মামলা নেওয়ার জন্য ৷ অথচ বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হলেও নেই কোন ব্যবস্থা। গত ২ দিনের বর্ষায় মহা সড়কটি, মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছু মোটরসাইকেল আরোহী দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারাত্মক আহত হয়েছে। উক্ত বিষয়ে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী করেছে শ্যামনগরের সুদি মহল।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।