আব্দুল আহাদ,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর পৌর বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ভিতর ৩টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদন্দিতায় প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে। এবং ৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। জাল ডেলিগেটকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় অন্তত ৩ জন আহত হয়েছেন।
গত শুক্রবার ২৫শে জুলাই বিকাল চার টার দিকে শ্যামনগর পৌর সদরের নকিপুর এইচসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে পৌর বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়।
কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উৎসহ উদ্দীপনা দেখা যায় ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে। ডেলিগেট উপস্থিতি ছিল সরব, উৎসব মুখর পরিবেশে ছিলো। হঠাৎ বিকাল সাড়ে পাচটার দিকে জাল ডেলিগেট নিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। এই সংঘর্ষে আহত হন তিন জন। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি নেত্রীবৃন্দ এবং ওসি শ্যামনগর থানা, উনাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। শুরু হয় পুনারায় ভোট গ্রহন। ।
জেলা বিএনপির আহবায়ক জনাব রহমতুল্লাহ পলাশ বিতর্কিত আট(৮) নং ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন স্থগিত ঘোষণা করেন। ভোট গ্রহন সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত চলে।
তারপর শুরু হয় ভোট গননা, রাত্র বারো টার দিকে চার আসনের টিম লিডার জনাব তাসকিন আহমেদ চিশতি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
ঘটনা স্থলের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিকাল থেকে ওয়ার্ডগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। একপর্যায়ে ৮নং ওয়ার্ডের তালিকায় একশ জাল ভোটার অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ তুলে ভোটগ্রহণ স্থগিতের আবেদন জানান একটি পক্ষ। এসময় প্রতিপক্ষ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আশেক ইলাহী মুন্নার কর্মী সমর্থকরা সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীর উপর হামলে পড়ে। এসময় তাকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে তার জামাতা তোহা সহ আনোয়ার-উস শাদাত মিঠু ও বাবু হামলার শিকার হয়। এসময় প্লাস্টিকের পাইপের আঘাতে মাথা ফেটে মিঠু রাস্তার মধ্যে পড়ে গেলে দ্রুত তাকে সহ অন্যদেরও ক্রমান্বয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা. শাকিল হোসেন বলেন, আনোয়ার -উস শাদাত মিঠুর মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। একাধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাকে পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাবেক পৌর আহবায়ক জনাব লিয়াকত আলী বলেন, জাল ডেলিগেট করে ভোট গ্রহণের প্রতিবাদ করায় এমন হামলা হয়েছে।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা-৪ আসনের টিম লিডার জনাব তাসকিন আহমেদ চিশতি এবং জেলা বিএনপির আহবায়ক তাতক্ষনিক কোনো মন্তব্য করেননি। পরবর্তীতে সাংগঠনিকভাবে শিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এবিষয়ে শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ জনাব হুমায়ুন কবির মোল্যা বলেন, সংঘর্ষ শুরু হলে আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আর এবিষয়ে যদি কোনো পক্ষ অভিযোগ করেন আমরা আইনানুগ ভাবে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।