নিজিস্ব প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় যমুনা নদী খননের কাজ শুরু হলে, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এর সময় ভিডিও ও ছবি তোলায় সাংবাদিক মারুফ হোসেন মিলনের ওপর হামলা করে অবৈধ দোকান মালিক সহ কয়েক জন এ ঘটনায় ৭জন এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ৬ জুন আহত সাংবাদিকের মাতা দেলোওয়ারা বেগম বাদী হয়ে শ্যামনগর সদরের নকিপুর গ্রামের মোকছেদ আলীর পুত্র ১৫ টির বেশি মামলার আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী জি এম রহমত আলী কে প্রধান আসামী করে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে শ্যামনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা আসামীরা হলেন, নকিপুর গ্রামের মোকছেদ আলী গাজীর পুত্র রহমত আলী, গোপালপুর গ্রামের মৃত মেঘনাথ গাইনের পুত্র মলয় কুমার গাইন ঝন্টু, দেবালয় গ্রামের সুধীর মন্ডলের পুত্র জয়দেব, রবিউল ইসলামের পুত্র সেলিম হোসেন, আটুলিয়া গ্রামের মৃত সাত্তার গাজীর পুত্র মিন্টু গাজী, ভেটখালী গ্রামের হরেন নিগরের পুত্র শ্যামল নিগর ও মানিকপুর গ্রামের বারিক গাজীর পুত্র নাজিম গাজী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক মারুফ হোসেন মিলন দৈনিক গ্রামের কাগজের প্রতিনিধি ও শ্যামনগর উপজেলা অনলাইন নিউজ ক্লাবের সভাপতি হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে আসছিল। সম্প্রতি যমুনা নদী খননের জন্য অবৈধ উচ্ছেদ শুরু করে প্রশাসন। ৬ জুন সাংবাদিক মারুফ হোসেন মিলন রিপোর্ট করার জন্য উচ্ছেদের তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রহমত আলীর নেতৃত্বে উল্লেখিত ব্যক্তিরাসহ আরো৪/৫ অজ্ঞাত ব্যক্তি সাংবাদিক মারুফ হোসেন মিলনের উপর হামলা করে। এসময় সাংবাদিক মারুফ হোসেন মিলনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তার কাছে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়রা তাদের কাছ থেকে মারুফ হোসেন মিলনকে উদ্ধার করে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, সাংবাদিক এর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এবং খুব দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার করা হবে। মামলা নং ১৭।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।