আটুলিয়া প্রতিনিধিঃ আবু সাঈদ হত্যার প্ররোচনাকারী স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা সুইটি ও তার পরিবার সহ জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবীতে শ্যামনগর উপজেলার ১০ নং আটুলিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগনের আয়োজনে নওয়াবেঁকী বাসস্টান্ডে ঘন্টাব্যাপী সহস্রাধিক নারী পুরুষের উপস্থিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আটুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গাজী কামরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা মারুফ বিল্লাহ, ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা ওহিদুল ইসলাম, শ্রমীকলীগ নেতা মো: রবিউল ইসলাম প্রমূখ। বক্তারা বলেন, ছোট কুপট গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র আবু সাঈদ (২২) একই এলাকার জাহাঙ্গীরের কন্যা সুইটি(১৯) এর সাথে প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ২৩ শে আগষ্ট ২০২০ সালে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয় বিবাহ সংক্রান্ত এফিডেভিট করে তারা শান্তিপূর্ন জীবন যাপন করতে থাকে। বিষয়টি সুইটির পরিবার সহজভাবে মেনে নিতে পারিনি। এ নিয়ে জাকিয়া সুলতানা সুইটি ও আবু সাঈদ এর উপরে অমানুষিক নির্যাতন চালায় সুইটির পিতা জাহাঙ্গির মোড়ল, দুলাভাই সাদ্দাম হোসেন, চৌকিদার আলম সহ তার পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে সুইটিকে ম্যানেজ করে তার পিতা জাহাঙ্গির মোড়ল বাদী হয়ে সাঈদ সহ ৩ জনকে আসামী করে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সম্পূর্ন কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে ৮২/২১ নং মামলা দায়ের করে। এই মামলায় দীর্ঘদীন কারাবরন করে আবু সাঈদ মুক্তি পেয়ে বাড়িতে আসলে সুইটির পরিবার আবু সাঈদ এর নিকট মামলা নিষ্পর্তির লক্ষে তিন লক্ষ টাকা দাবী করে। টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় সাঈদ মিমাংশার জন্য ১৭ ই মে ২০২৩ তারিখে সুইটির বাবার বড়িতে যায়। এসময় সুইটির পরিবারের পক্ষ থেকে সাঈদকে ব্যপক মারপিট করে। এক পর্যায়ে ঐ রাতে জাহাঙ্গীর মোড়লের তেতুলগাছে আবু সাঈদের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরায় মর্গে প্রেরন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মৃত সাঈদের ময়না তদন্তের রিপোর্ট থানায় এসে পৌছায়নি। সাঈদ হত্যার ঘটনায় শ্যামনগর থানায় কোন মামলা রেকর্ড হয়নি। সাঈদের মা নাসরিন খাতুন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার ছেলে সাঈদকে জাহাঙ্গীর মোড়ল, ভগ্নিপতি সাদ্দাম ও চাচা চৌকিদার আলম পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে তাদের তেতুল গাছে ঝুলিয়ে রাখে, আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই। মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তাগন সাঈদ হত্যার প্রকৃত রহস্য উৎঘাটন পূর্বক প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।