শ্যামনগর ব্যুরোঃ শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় চলছে অনিয়ম, অপরিকল্পনা, দূর্ণীতি আর অব্যবস্থাপনায়।পরিকল্পনা বিহীন কার্যক্রম করায় সফলতার মুখ দেখছেনা কোন প্রকল্প।এরফলে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে সফলতা আসছেনা বলে মন্তব্য করেছেন সুধীজন।এরইমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনে কর্মরত কর্মচারীরা।
রোববার (৩০ জুন) শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজিবুল আলমের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর এই স্মারকলিপি পেশ করেন তারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ২৭ জুন বিকাল ৩টায় উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) জাকির হোসেনের উগ্র ও মারমুখী আচরণ এবং তার প্রত্যক্ষ নির্দেশে মারধর করেন মাফিয়া ঠিকাদার মেসার্স মোহনা এন্টার প্রাইজেরপ্রোপাইটার এম এ এইচ টুমু।
এতে আরও বলা হয়, এম এ এইচ টুমুর সাথে দাপ্তারিক কথা বলার সময় তিনি ওই কর্মচারীর সাথে অসদাচরণ করেন। তারপরও বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলতে বললে প্রতিউত্তরে টুমু বলেন, কিসের ইউএনও'র সাথে কথা বলবো। এসময় তিনি উপজেলা প্রকৌশলীর নির্দেশে ওই কর্মচারীর গালে থাপ্পড় মারেন এবং বুকে লাথি মারেন।
স্মারকলিপিতে সরকারি কর্মচারীকে মারধর এবং অসংখ্য দুর্নীতি ও অনিয়মের মূল হোতা উপজেলা প্রকৌশলীর অপসারণ এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের লাইসেন্স বাতিল করার দাবি জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে উপজেলায় এলজিইডি বাস্তবায়নাধীন প্রতিটি প্রকল্পের ঠিকাদারের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। প্রত্যক ঠিকাদারের সাথেতার চরম সখ্যতার খবর পাওয়া যায়। ফলে রাস্তার কাজ হয় অত্যন্ত নিম্নমানের।
এদিকে, শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, আমার সাথে এমন কোন কিছু হয়নি। আমার বিরুদ্ধে স্মারকলিপি প্রদান করেছে কেন আমি জানি না।
ঠিকাদার এম এ এইচ টুমু বলেন, দুই অফিসের ভিতরে বাগ বিতণ্ডার এক পর্যায়ে আমি মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি শুধুমাত্র। এখন আমি হচ্ছি বলি পাঠা।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।