নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদায়নকে কেন্দ্র করে সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবের রুমে হাতাহাতির ঘটনায় ১৭ উপসচিবের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলকব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। শাস্তির মুখে থাকা ১৭ কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন পুরুষ এবং নারী কর্মকর্তা আছেন দুজন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসউর রহমান সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক নিয়োগকে কেন্দ্র করে গত ১০ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা করেন উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা। ওই ঘটনায় বিশৃঙ্খলার দায়ে তাদের ১৭ জনকে চিহ্নিত করে বিভিন্ন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি আটজনকে গুরুদণ্ড, চারজনকে লঘুদণ্ড ও পাঁচজনকে তিরস্কারের শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করে।
গুরুদণ্ড দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে নুরজাহান খানম, মো. নুরুল করিম ভূঁইয়া, মো. জসিম উদ্দিন, রেবেকা খান, মো. সাইফুল হাসান, মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন, নুরুল হাফিজ এবং মোতাকাব্বীর আহমেদের বিরুদ্ধে।
লঘুদণ্ডের সুপারিশ থাকা চার কর্মকতা হলেন, হাসান হাবীব, মো. আ. কুদ্দুস, আবদুল মালেক, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম নজরুল।
অন্যদিকে শাস্তি হিসেবে ‘তিরস্কার’ করার সুপারিশ থাকা পাঁচজন হলেন মো. সগীর হোসেন, মো. মুনিরুজ্জামান, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. হেমায়েত উদ্দীন, মো. তোফায়েল হোসেন। ‘তিরস্কার’ লঘুদণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে কম মাত্রার দণ্ড।
প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে দিনভর হট্টগোল করার পর বিকেলে তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা হট্টগোল করার সময় ডিসি হিসেবে পদায়নের আশ্বাস পেয়ে তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কক্ষ ত্যাগ করেন। পরে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।