অগ্রদূত ডেস্কঃরাজধানীর সদরঘাটে ভয়ানক লঞ্চ দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহতের ঘটনায় অবহেলাজনিত (৩০৪ ধারায়) একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক ইসমাইল হোসেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় থানায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অবহেলাজনিত বেপরোয়া ও দ্রুত গতিতে লঞ্চ চালানোর ফলে এমবি তাসরিফ-৪ এবং পুরাতন রশি ব্যবহার করার ফলে এমবি তাসরিফ-৬ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। এই ঘটনায় এমবি ফারহান-৬ এর প্রথম শ্রেণির মাস্টার আসামি মো. আব্দুর রউফ লাল হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. সেলিম হাওলাদার (৫৪), ম্যানেজার মো. ফারুক খান (৭০) এবং এমবি তাসরিফ-৪ এর প্রথম শ্রেণির মাস্টার আসামি মো. মিজানুর রহমান (৪৮), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার আসামি মো. মনিরুজ্জামান (২৭) আউটার এমবি তাসরিফ (এম নং০১১২৬৪) ও এমবি ফারহান ৬ (এম নং ৯৯৯৬) দুই লঞ্চের মোট পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পন্টুনে থাকা পাঁচ যাত্রী নিহত হন। এর মধ্যে একজন নারী, তিনজন পুরুষ ও একটি শিশু। এ ঘটনায় লঞ্চের দুজন চালকসহ পাঁচজনকে আটক করেছে নৌপুলিশ। এছাড়া এমভি ফারহান-৬ ও এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।
এদিন ১১ নম্বর পন্টুনের সামনে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামক দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান-৬ নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে পাঁচ জন যাত্রী লঞ্চে ওঠার সময় গুরুতর আহত হয়।
ঘটনার পর আহতদের দ্রুত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।