স্টাফ রিপোর্টার: সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো: নজরুল ইসলামকে মডার্ণ গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নজরুলের পরিবার।
মামলায় নজরুল ছাড়াও থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হাজী জহিরুল হক ও খালেক নামে অপর একজনকে আসামী করা হয়। অথচ নজরুলের ছোট ভাই জহিরুল হক বিদেশে অবস্থান করছেন।
যে সম্পত্তিটি মডার্ণ গ্রুপ তাদের নিজেদের সম্পত্তি দাবী করে মামলা দায়ের করেছে সেই তাজ জুট মিলেই তাদের কোন অস্তিত্ব নেই। সেখানে বিজেএমসির নিয়োজিত ৩ শিফটে ৩জন করে ৯জন নিরাপত্তা কর্মী দায়িত্ব পালন করে আসছে বলেও জানা গেছে।
বর্তমানে নজরুল এ মামলায় করাগারে রয়েছেন। তাকে কারগারে রেখে একটি কুচক্রী মহল হীন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলেও দাবি করছেন তার স্বজনরা।
নজরুলের ভাই মাজহারুল জানান, মিলটি ক্রয় করার জন্য তাজ জুট বেকিং কোম্পানী লিমিটেড ও মডার্ণ গ্রুপ অব কোম্পানীর মধ্যে একটি চুক্তি হলেও চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় আদালতের রায়ের মাধ্যমে ঐ চুক্তিটি বাতিল করা হয়।
তাজ জুট ব্যাকিং কোম্পানী লিমিটেডের তাজ/প্রশা/০১/২০০৫ সূত্র স্মারকে মিল কর্তৃপক্ষ বিগত ০১/০১/২০০৫ইং হইতে অত্র মিলের সামগ্রীক দেখাশুনা, রক্ষণাবেক্ষণ, অফিস ব্যবহার, মিলের নির্ধারিত সীমানা তদারকি মিল অভ্যন্তরে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও কোন অনৈতিক কর্মকান্ড রহিত করা ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করা ইত্যাদি বিবিধ কার্যাদি পরিচালনার জন্য মৃত ধনু মেম্বারের ছেলে নজরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হইল।
অথচ মডার্ণ গ্রুপ অব কোম্পানীর মামলায় উল্লেখ করা হয়, তাদের ক্রয়কৃত জমি তাজ জুট মিলে কাজ করতে গেলে তাদের কাছ থেকে নজরুল, তার ছোট ভাই জহির ও তাদের সহযোগী খালেক ওরফে জামাই খালেক ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। যেহেতু মডার্ণ গ্রুপের এখানে কোনো মালিকানা নেই তার ষড়যন্ত্র করে নজরুলকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছে।
তিনি আরো জানান উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, লোকাল অফিস ঢাকার একটি চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে, আগ্রহী ক্রেতা হিসেবে রায় দেনাদার কোম্পানীর পক্ষে বাকি নিষ্পত্তিকৃত ১৮ কোটি টাকা পরিশোধ করতে আপনার (মডার্ণ গ্রুপ অব কোম্পানী) বার বার প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও আপনি নানা কৌশল অবলম্বন করে বাকি টাকা পরিশোধ করেননি।
অত:পর রায় দেনাদার কোম্পানীর গত ০৪/০৯/১১ইং তারিখের আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যাংক শর্তসহ ২৪ কোটি টাকা মাত্র এর পরিবর্তে কেবল ২৬ কোটি টাকায় নিষ্পত্তি করেন, বাকি ২০ কোটি টাকা রায় দেনাদার কোম্পানী অথবা আগ্রহী ক্রেতাকে ১ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
রায় দেনাদার কোম্পানী এবং / অথবা আপনি আগ্রহী ক্রেতা হিসেবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তিকৃত অর্থ পরিশোধ করেন নি। অত:পর রায় দেনাদার কোম্পানীর ২২/০৭/১২ইং তারিখের পত্রমূলে অনুরোধে সাড়ায়, ব্যাংক গত ০৫/০৮/১২ইং তারিখে ইউবিএল/এলও/এসডি/জিজে/২০১২/৯৫নং সূত্র মূলে উহার পত্রমূলে জনাব হেদায়েত উল্লাহ ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায় দেনাদার কোম্পানীসহ আপনার কাছে কপি প্রদান করেন। এবং উক্ত পত্র প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে বাকি নিষ্পত্তিকৃত ২০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে অনুরোধ ও তাগাদা দেন, রায় দেনাদার কোম্পানী/ দায় শান্তিপূর্ন নিষ্পত্তির জন্য আপনি আগ্রহী ক্রেতা হিসেবে ব্যর্থ হওয়ায় অবিলম্ভে বাতিল হয়ে যাবে এবং ব্যাংক সম্পত্তি বিক্রি করতে তা প্রক্রিয়াধীনে রাখবে।
অত:পর রায় দেনাদার কোম্পানী আপনার মাধ্যমে ২০ কোটির কাতে গত ০৮/১০/১৩ইং তারিখে কেবল মাত্র ১ কোটি টাকা জমা করেন কিন্তু বাকি নিষ্পত্তিকৃত টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হন। কোম্পানী এবং / অথবা আপনি আগ্রহী ক্রেতা হিসেবে নিষ্পত্তিকৃত টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার কারণে উক্ত শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা ব্যাংকের ০৫/০৮/১২ইং তারিখের পত্র মূলে বাতিল হয়ে যায়।
অতএব, পরিষ্কার হয় যে, ব্যাংকের ১৭/০৭/২০০৫ ইং তারিখে উপরোক্ত পত্রে, কয়েকটি শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা ছিল অর্থাৎ ০৩/১০/২০১০ইং তারিখে ২৪ কোটি টাকা মাত্র এবং অত:এব ১২/০৯/১১ইং তারিখে ২৬ কোটি টাকা মাত্র এবং রায় দেনাদার কোম্পানী এবং আপনি আগ্রহী বায়ার হিসেবে তা গ্রহণ করেন, এবং কয়েকটি উপলক্ষে ব্যবস্থা মতে নিষ্পত্তিকৃত বকেয়া পরিশোধ করতে প্রতিশ্রুতি দেন, নিষ্পত্তিকৃত বকেয়া পরিশোধের জন্য সময় আবেদন করেন তবে পরিশেষে তা পরিশোধে ব্যর্থ হন।
অতএব, ১১ বছর পর বকেয়া পরিশোধের ব্যাপারে ব্যাংকের ১৩/০৭/০৫ ইং তারিখে আপনার পত্রের সূত্রে কিছুই নাই তবে ব্যাংকের বকেয়া পরিশোধ করা ছাড়াই আগ্রহী বায়ার হিসেবে রায় দেনাদার কোম্পানীর সম্পত্তি ভোগ করার কৌশল মাত্র।
১২/০৯/১১ইং তারিখের ২৭৭ নং ব্যাংকের স্মারক অনুসারে নিষ্পত্তিকৃত অর্থ পরিশোধ করেন নি কাজেই শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাটি ০৫/০৮/১২ইং তারিখের উক্ত পত্রের তারিখ থেকে ১৫ দিন উত্তীর্ণ হওয়ার পর তাৎক্ষণিক বাতিল হয়ে যায় ও রায় দেনাদার কোম্পানী এবং / অথবা উক্ত কোম্পানীর দায়বদ্ধতার জন্য ব্যাংক কোন ভাবে দায়ী নয়।
নজরুলের পরিবারের দাবি সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও আইনশৃংখলাবাহিনী বিষয়টি তদন্ত করলেই মর্ডাণ গ্রুপ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করে নজরুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলে প্রামন পাবেন। এ বিষয়ে তারা নারায়ণঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন উর রশিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।