আটুলিয়া প্রতিনিধি: শ্যামনগর গাবুরায় সংবাদ সংগ্রহকালে ইউপি সদস্যা ও তার স্বামী কর্তৃক সংবাদকর্মীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, শ্যামনগরের গাবুরার জেলিয়াখালি গ্রামের রেবতী রানীর বাড়ি হইতে গৌরঙ্গের বাড়ি পর্যন্ত ইটসোলিং রাস্তা তৈরিতে নিম্নমানের ইট বালু ব্যবহার করার অভিযোগ পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের ১,২, ও ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যা সাবিনা ইয়াসমিন (রানী) ও তার স্বামী আনোয়ার হোসেন উপকূলীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও উপকূলীয় বার্তা’র সহ সম্পাদক সংবাদ কর্মী আল হুদা মালীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন।
এনডিপির রাস্তা তৈরিতে নিম্নমানের ইট বালু ব্যবহারের বিষয়ে। জানতে চাইলে ইউপি সদস্যা সাবিনা ইয়াসমিন রানী প্রথমে বালু কম দেওয়ার বিষয় স্বীকার করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ইউপি সদস্যা রানীর স্বামী আনোয়ার হোসেনের হিংস্র ও ক্ষীপ্ত মেজাজে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে । এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে সংবাদ কর্মী প্রাণনাশের ভয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ।
ঘটনাস্থল ত্যাগ করার কিছুক্ষণ পর ইউপি সদস্যা রানী তার ব্যক্তিগত মোবাইল নং+8801965056638 থেকে কল করে বলেন, তুই চলেগেছো কেন? তোকে যেখানে পাবো সেখানেই গণধোলাই দেওয়ার অর্ডার আছে আমাদের কাছে। তুই চলে না গেলে তোর খবর ছিলো সাংবাদিকদের মারার অডার আছে এমন দাম্ভিকতা দেখান ইউপি সদস্যা স্বামী আনোয়ার হোসেন
সাংবাদিক হুদা মালী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমার কাছে খবর আসে গাবুরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে জেলা পরিষদের বরাদ্দে একটা ইটসোলিং রাস্তা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সেখানে নিম্নমানের ইট বালু ব্যবহার করা হচ্ছে, আমি সরেজমিনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দ্বায়িত্বরত ইউপি সদস্যা রানীকে ফোন
দিলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে গালিগালাস সহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়
পরবর্তীতে আবারও ইউপি সদস্যা রানীর ফোন থেকে সাংবাদিক হুদা মালীকে বলেন, তোদের মত সাংবাদিক যেখানে পাবো সেখানেই গণধোলাই দেওয়ার অর্ডার আছে আমাদের কাছে। এবিষয়ে গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, সংবাদকর্মী অভিযোগ পেলে কাজ দেখতে যেতে পারে তাই বলে মারার হুমকি দেওয়ার অধিকার নাই, আর তার স্বামী তো ওই কাজের দায়িত্বে না তাহলে সে কেনো এমন ব্যবহার করবে। আমি বিষয়টি জেনে দেখতেছি।
এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউপি সদস্যা সাবিনা ইয়াসমিন রানী ও তার স্বামী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় জিডি করা হয়েছে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। এটির সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।