নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, দ্রব্য মূল্যের মত যানজট ও সাধারন মানুষের ভোগান্তির একটি বড় কারন হয়ে দাড়িয়েছে। জনসচেতনতা, শৃঙ্খলা এবং প্রনয়ণকৃত আইন প্রয়োগের অভাবে বহু চেষ্টার পরেও যানজট নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এইদিক থেকে ব্যাতিক্রমি চিত্র লক্ষ্য করা যায় সাইনবোর্ড ট্রাফিক পুলিশের যানজট নিরসনের প্রচেষ্টায়। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের একটি গুরুত্বপূর্ন স্থান সাইনবোর্ড। তাই এখানকার যানজট নিয়ন্ত্রন করতে অনেকটাই বেগ পেতে হয় সাইনবোর্ড ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। সাইনবোর্ড ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা সংখ্যার দিক থেকে কম হলেও তাদের দায়িত্ব পালনে প্রচেষ্টার কমতি নেই। সাইনবোর্ডের টিআই জিয়াউল করিমের নেতৃত্বে নিষ্ঠার সাথে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সাইনবোর্ডের প্রতিটি ট্রাফিক পুলিশ সদস্য। তাদের এমন কর্মকান্ডে সাধারন যাত্রী ও পথচারীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। সাধারন যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুধুমাত্র ঈদ, পূজা বা বিভিন্ন দিবস উপলক্ষ্যে নয়, সারা বছরই যানজট নিরসনে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে সাইনবোর্ড ট্রাফিক পুলিশ। শুধুমাত্র যানজট নিরসনে নয়, সাইনবোর্ড সড়কে পরিবহন চাঁদাবাজি বন্ধেও সদা তৎপর তাদের প্রতিটি ট্রাফিক সদস্য। এই ব্যাপারে সাইনবোর্ডের টিআই জিয়াউল করিম বলেন, সাধারন যাত্রীদের ভোগান্তি বিহীন যাত্রা উপহার দিতেই আমাদের সকল চেষ্টা। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে থেকেও নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যেতে হয়। তিনি আরও বলেন, যাত্রীদেরকে শুধুমাত্র যাত্রী হিসেবে নয়, পরিবারের এক একটি সদস্য মনে করে সেবা প্রদান করে আসছি। তাদের স্বস্তিদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে সাইনবোর্ডের প্রতিটি ট্রাফিক পুলিশ সদস্য কাজ করে যাচ্ছেন। পরিবহন চাঁদাবাজি বন্ধেও থেমে নেই আমাদের প্রচেষ্টা। জিয়াউল করিম বলেন, দূর্ঘটনা এড়িয়ে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌছাতে শুধুমাত্র আমাদের চেষ্টা নয়, জনসচেতনতাও কাম্য। তাই যানজট, দূর্ঘটনা, পরিবহন চাঁদাবাজি বন্ধ করে সুশৃঙ্খল মহাসড়ক তৈরীতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।