হাফিজুর রহমান শিমুলঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে নিকট আত্মীয়ের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শরিফুল ইসলাম। তিনি কালিগঞ্জের তারালী ইউনিয়নের কাকশিয়ালী গ্রামের মৃত এবাদুল ইসলামের পুত্র। সোমবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় লিখিত বক্তব্যে বলেন আমি কালিগঞ্জ থানাধীন কাকশিয়ালী গ্রামের একজন গৃহহীন, হত-দরিদ্র পরিবারের সন্তান। অনেক কষ্ট সাধ্য করিয়া, টিউশনি করিয়া, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি বিজ্ঞানে অনার্স, মাষ্টার্স শেষ করে ৩৮তম বিসিএস কৃষি ক্যাডারে কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা হিসাবে বটিয়াঘাটা, খুলনাতে কর্মরত আছি। যেখানে আমাকে নিয়ে আমার আত্মীয় স্বজনদের গর্ব করার কথা সেখানে তারা উল্টা আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। পক্ষান্তরে আমার প্রতিপক্ষ গ্রুপ ফারুক হোসেন@লিটন, বেটা জব্বার ও আমার রক্তের আত্মীয়স্বজন জোর পূর্বক আমার কেনা সম্পত্তি দখল করার উদ্দেশ্যে আমার বাড়িতে হামলা করে। আমার দাদির থাকার নাম করে তারা প্রতিষ্ঠিত মাদক ব্যবসায়ী বেটা জব্বারকে আমার ঘরে জোর পূর্বক তুলে দেয়। আমার দাদি যদি থাকে তাহলে আমাদের কোন সমস্যা নাই। দাদি থাকবে শুনে আমারা তো আরও খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু তারা তা না করে মাদক ব্যবসায়ীকে জায়গা দিয়ে মাদক ব্যবসা ও নারী ঘটিত অসামাজিক কার্যক্রম চালাতে থাকে। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে বলে তোদেরকে উচ্ছেদ করে দেবো। তোরা বের হয়ে যা। তোদের কোন জায়গা নেই। ঘর-বাড়ি ছেড়ে দিতে বললে চাঁদা দাবি করে। চার লক্ষ টাকা চাঁদা দিলে আমার জায়গা ছেড়ে দিবে। এছাড়া বিভিন্ন সময় আমার ফুফুরা আমার বৃদ্ধ মা ও ছোট ভাইকে মারধর করে। তারা লাঠিসোটা নিয়ে আমার মা ও ভাইকে নির্যাতন করে ও ঘর বাড়ি ভাংচুর করে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গ অবগত আছেন। এক পর্যায়ে নির্যাতন ও চাঁদার জন্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে সংশ্লিষ্ট কালিগঞ্জ থানায় আমার ছোট ভাই মোঃ আরিফুল ইসলাম এজাহার দায়ের করে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ বেটা জব্বার ও লিটনকে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানার মামলা নং-৬/৯৯ মূলে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে। উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন থানায় লিটনের নামে ৮ টি ও বেটা জব্বারের নামে ৪ টি মামলা রয়েছে। গত ১০/০৪/২০২১ খ্রিঃ তারিখ আমাদের বিপক্ষে আমার দাদিকে দিয়ে মিথ্যেভাবে সংবাদ সম্মেলন করে যেখানে বলা হয় আমারা নাকি তাদের সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করেছি। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাদের কাছে ডুকুমেন্ট আছে। আমার বাবা চাচ দু’জনে মিলে ৬ শতাংশ জমির মালিক বাবা-চাচার মৃত্যুর পর আমরা সন্তানরা ওয়ারেশ। আমার চাচার ১ ছেলে, ৪ মেয়ে ও ১ স্ত্রী (যদিও চাচার ৩ টা বিয়ে ১ম ও ২য় স্ত্রী ডিভোর্স প্রাপ্ত) আমার চাচার বড় মেয়ে নাজমার প্রাপ্ত ০.৪০ শতাংশ জমি আমরা কিনেছি যার দলিল নং-৪২১৩ ও ছোট চাচির প্রাপ্ত ০.৩৭ শতাংশ যার দলিল নং ৫১৩৩ আমরা কিনেছি। আমার চাচার ছেলে ঈশান হোসেন(৪) তার ০.৮৭ শতাংশ অংশটুকু ছোট চাচির অভিভাবকত্বের দায়িত্বে আনরেজিষ্ট্রি দলিল করে নিয়েছি। সমুদয় দলিল ও কাজগপত্র আপনাদের জ্ঞাতার্থে পেশ করিলাম। মাদক ব্যবসায়ী লিটন, বেটা জব্বার ও আমার আত্মীয় স্বজন চাঁদা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে মামলা ও সংবাদ সম্মেলন করেছে। জমি-জমা নিয়ে চাচার সাথে বিরোধ দেখা দিলে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বর ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে গত ০৭/০৯/২০১৭ তারিখ আপোষ মিমাংশা করে নেওয়া হয়। যার অনুলিপি পেশ করেন তিনি। এছাড়া শরিফুল ইসলামেরসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যে কাল্পনিক তথ্য ছড়িয়ে অহেতুক হয়রাণী ও মিথ্যা অভিযোগ এবং সংবাদ সম্মেলন করছে তা বানোয়াট,ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমুলক। এদিকে আমার পরিবার ষড়যন্ত্রের স্বীকার এ বিষয়টি কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হুসেন মহোদয়কে অবহিত করলে তিনি গুরুত্বের সাথে দেখেন এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে আসেন। এটাকে পুঁজি করে বেটা জব্বার গং পরিকল্পিতভাবে ওসি সাহেবকে জড়িয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট খবর প্রকাশ করা হয়েছে যার নিন্দা জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনকালে উপস্থিত ছিলেন শরিফুলের মা, ভাই সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।