আবু বক্কার,সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: বেশকিছুদিন যাবৎ সারাদেশে এবং নেট দুনিয়ায় ব্যাপক তোলপাড় ফেলেছে কেজি দরে তরমুজ বিক্রয়। এরই ধারাবাহিকতায় নওগাঁর সাপাহারে তরমুজকান্ডে ব্যাপক চাপা ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে ক্রেতাদের মাঝে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ ক্রেতা মহল।
উপজেলা সদরে অবস্থিত তরমুজের দোকান গুলোতে কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে তরমুজ। চড়া দাম হবার ফলে তরমুজ কিনতে ব্যর্থ হচ্ছেন ক্রেতারা। প্রখর বোদের তাপে রসালো ফলের উপর প্রতিটা মানুষের একটা দূর্বলতা রয়েই যায়। শুধু তাই নয় পবিত্র রমজানের রোজার ইফতারের পর তরমুজ দিয়ে এক প্রকার শরবত বানিয়ে পান করেন রোজাদারগন। কিন্তু চড়া মূল্যে তরমুজ কিনতে না পারার ফলে অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন এই রসালো ফলের স্বাদ গ্রহন থেকে।
একাধিক ক্রেতা এই প্রতিবেদককে জানান, বর্তমানে এ উপজেলায় কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী তরমুজ ওজন দরে বিক্রি করছে। প্রতি কেজি তরমুজ কিনতে হচ্ছে ৪০/৫০ টাকা দরে। একটি ভালো তরমুজের ওজন দাঁড়ায় ৮/৯ কেজি। যার দাম এসে দাঁড়ায় ৪০০/৫০০ টাকা পর্যন্ত। যা সাধারণ ক্রেতার কিনে খাবার সামর্থ নেই। যাতে করে তরমুজ কিনতে গিয়েও ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষজন।
অনেকেই অভিযোগ করছেন বিগত দিনগুলোতে তরমুজ পিস হিসেবে বিক্রি হতো। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারনে এমন চরম অবস্থা পোহাতে হচ্ছে। যেখানে ভোক্তা অধিকারের প্রশ্ন চলে আসছে।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরমুজের এ ধরণের কান্ড নিয়ে বিভিন্ন পোষ্ট করছেন নেটিজেনরা। কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই! এরকম সিন্ডিকেট চলতে থাকলে অনেকেই বঞ্চিত হবেন চিরচেনা এই ফলের স্বাদ থেকে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মামুনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, তরমুজ ব্যাবসায়ীদের ডেকে সাবধান করে দেওয়া হবে।
কিন্তু অনতিবিলম্বে তরমুজের তরমুজকান্ড প্রতিকারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার সাধারণ ক্রেতা মহল।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।