বিনোদন ডেস্কঃ
জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সিআইডি’, আর এর অন্যতম চরিত্র এসিপি প্রদ্যুমন। শিবাজী সতমের অভিনয় এই চরিত্রটাকে প্রতিটি মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। কিন্তু ‘সিআইডি’তে আর দেখা যাবে না এসিপি প্রদ্যুমনকে। সনি টিভির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই আইকনিক চরিত্রের মৃত্যু দেখানো হয়েছে। কারণ শিবাজী আর এই চরিত্রে কাজ করতে চাইছেন না। অভিনেতা নিজেই চরিত্রটি থেকে বিরতি চাইছিলেন আর সে কারণেই পর্দায় তার মৃত্যুর দৃশ্য দেখানো হয়েছে। তবে এ বিষয়টি সামনে আসতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিআইডি ভক্তরা।
হিন্দুস্টান টাইমস থেকে জানা গেছে, ১৯৯৮ সাল থেকে সিআইডির প্রধান চরিত্র এসিপি প্রদ্যুমনকে দেখছে দর্শক। তবে প্রচারে আসা শেষ পর্বে দেখা যায়, ভয়ঙ্কর অপরাধী বার্বোজা একটি বিস্ফোরণের ফাঁদে ফেলে দেন এসিপিকে, যেখানে তার মৃত্যুর ইঙ্গিত দেয়া হয়।
এ নিয়ে জল্পনা চললেও শেষ পর্যন্ত শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে সনি টিভি ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করে যে, এসিপি প্রদ্যুমন আর জীবিত নেই। সেই পোস্টে একটি ছবি দেয়া হয়, যেখানে লেখা ছিল, একটি যুগের অবসান। এসিপি প্রদ্যুমনের (১৯৯৮-২০২৫)। এসিপি প্রদ্যুমনের স্মৃতিতে… একটি অপূরণীয় ক্ষতি।
এই ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক আর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দর্শকরা। অভিনেতা নিজে বিরতি চাইলেও ভক্তরা এটা মানতে নারাজ। সনি টিভির সেই পোস্টে কেউ লিখেছেন, এটা কী করলেন আপনারা? আমাদের প্রিয় চরিত্র, যার সঙ্গে একটা পুরো প্রজন্মের স্মৃতি জড়িয়ে আছে, তাকে এমনভাবে শেষ করে দিলেন? অন্য একজন ভক্ত লিখেছেন, এটা শুধু এসিপি প্রদ্যুমনের মৃত্যু নয়, এটা সিআইডি নাটক এবং সনি টিভির মৃত্যুও। আপনারা একটা চরিত্র নয়, একটা ইতিহাসকে শেষ করে দিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসিপির চরিত্রের মৃত্যু নিয়ে নেটিজেনদের আলোচনা চলমান।
শিবাজী সতম ২৭ বছর ধরে এই চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। প্রজ্ঞা, সাহস, নেতৃত্ব আর ন্যায়বোধের এক অনন্য প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তবে অভিনেতা নিজেই যেন এই চরিত্র থেকে বের হটে চাইছিলেন। সে কারণেই পর্দায় তার মৃত্যু দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বিপি সিং নির্মিত ও প্রযোজিত সিআইডি ধারাবাহিকটি ১৯৯৮ সাল থেকে সনি টিভিতে প্রচারিত হয়ে আসছে। এই দীর্ঘ সময়ে প্রায় ১৬০০টিরও বেশি পর্ব সম্প্রচার হয়েছে এবং এটি ভারতের অন্যতম দীর্ঘতম চলমান ধারাবাহিক নাটক।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।