সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব আয়ের একটি অন্যতম এবং প্রধান উৎস হলো ভ্যাট বা কর। এ খাত থেকে আগত আয় দেশের কল্যানে ব্যবহার করা হয়। তাই দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিক স্ব স্ব জায়গা থেকে নিজেদের ভ্যাট প্রদান করেন। এ ক্ষেত্রে বেশী পরিমানে ভ্যাট গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের। আর এই ভ্যাট বা করা আদায়ের দায়িত্ব অর্পণ করা আছে যাদের উপর তারা এই গুরুদায়িত্বটি পালনে সদাসচেতন। কিন্তু সর্ষের মধ্যেই ভূত কথাটিও মিথ্যা নয়। তেমনি অনেক দায়িত্ববান কর্মকর্তার মাঝেই লুকিয়ে রয়েছে কিছু অসাধু কর্মকর্তা। যারা নিজেদের পদবীকে পুজি করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের পকেট ভারী করতেই ব্যস্ত। তারা সংখ্যায় তুলনামূলক ভাবে কম হলেও তাদের দৌরাত্ন মোটেও কম নয়। তাদের মূল শিকার হচ্ছে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীরা। যারা প্রতিনিয়তই নিরব হয়রানির শিকার হচ্ছে। এই তালিকা থেকে বাদ যায়নি সিদ্ধিরগঞ্জের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। গত কয়েক মাস ধরে ঢাকার ক্রীড়া ভবনের কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এসে মালিক পক্ষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যে কোন মূহূর্তে কারখান বন্ধ ঘোষনা করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, গত কয়েক দিন ধরে ঢাকার ক্রীড়া ভবন থেকে কাস্টমস অফিসাররা এসে বিভিন্ন অজুহাতে এবং মামলার ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। তারা আরো বলেন, ঢাকার ক্রীড়া ভবনে কাস্টমস অফিসাররা সুকৌশলে ব্যবসায়ীদের বলেন ২০ হাজার টাকা ব্যাংকের ট্রেজারী জমা দিতে হবে এবং আমাদের ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে তাহলে ব্যবসা চালাতে পারবেন। শুধু তাই নয় মালভর্তি গাড়ী আটকে রেখে মোটা অংকের টাকা দিতে বাধ্য করে ব্যবসায়ীদের। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শুরু হয় অসাধু কাস্টমসের ভয়ভীতি। মামলার ভয় দেখিয়ে গত কয়েক মাসে শুধু সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের দৌরত্ন এতটাই বেড়ে গেছে যে, নির্ধারিত কর্মঘন্টা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তারা তাদের হয়রানি মূলক অভিযান অব্যাহত রাখে। এসব দুর্নীতির কারনে প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এসব অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তার হাত থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ব্যবসায়ীরা। তা না হলে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যে কোন মূহূর্তে বন্ধ করে দিবে বলে জানান। অনুসন্ধানে জানা যায়, গত কয়েক মাস যাবৎ ঢাকার ক্রীড়া ভবনের কাস্টমস কর্মকর্তারা সুকৌশলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কৌশলে খোজ-খবর নিলে তা প্রমাণ হবে বলে একটি সূত্রের দাবী। তবে ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারক লিপি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিবেন বলে জানা যায়।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।