সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রভাবশালী বলে কথা। প্রভাবশালীরা যা খুশী তাই করবে এটাই নাকি স্বাভাবিক। মানছে না আইনকানুন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের রাস্তার পাশে কোমল মিনিবাস পার্কিং করে যাত্রী উঠা নামা করাচ্ছেন। এতে করে সাধারন পথচারীদের চলাচলের সমস্যা হলে কার কি যায়। প্রতিবাদ করার সাহস তো পাচ্ছেনই না, আবার প্রতিবাদ করলেই তো মারধরসহ নানা ধরনের হয়রানি হচ্ছে প্রতিবাদি যুবকরা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক শ্রেনী কিছু দুর্নীতিবাজ নেতারা দলের দুর্নাম করছে। এসব দুর্নীতিবাজ নেতারা নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকেন। চিটাগাংরোডে কোমল মিনিবাসের একক রাজত্ব। কারন মিনিবাস গুলোর শেল্টারদাতারা হচ্ছেন খুবই প্রভাবশালী। দীর্ঘদিন যাবৎ চিটাগাংরোডের মহাসড়কের পাশে এক অংশ দখল করে নিয়েছে কোমল মিনিবাস। কোমল বাস অবৈধ ভাবে পার্কিং করার কারনে পথচারীদের দুর্ভোগসহ দুর্ঘনার কবলে পড়তে হচ্ছে। নেই কোন ধরনের কোমল বাসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এসব গাড়ী কি ভাবে রাস্তায় চলে এটা নিয়ে এখন নানা প্রশ্ন সচেতন মহলের। শুধু কোমল পরিবহন নয়, বেকার পরিবহন, মনজিল পরিবহন, ৭১ পরিবহন, বন্ধু পরিবহন, দুরন্ত পরিবহন, শীতালক্ষ্য পরিবহন, সিএনজি, লেগুনাসহ আরো কয়েকটি পরিবহন চিটাগাংরোডে অবৈধ দখল করে নিয়েছে। এসব পরিবহনের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নিতেও হিমসিম খাচ্ছে। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় চলছে প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকার বানিজ্য। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হয়েছেও একাধিক বার সংঘর্ষ। প্রশাসন ও এসব প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকা গাড়ীর বিরুদ্ধে নিতে পারছে না ব্যবস্থা। ব্যবস্থা নিলে দেখা গেছে সেই অফিসারকে দুরে কোথাও করে দিবে বদলী। চিটাগাংরোডের ট্রাফিক পুলিশের প্রতিটি সদস্য জীবনের বাজি রেখে মহাসড়কে ধুলো বালি ঝড় বৃষ্টির মধ্যে যানজট নিরাসনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। অথচ কিছু প্রভাবশালীদের শেল্টার দেওয়া গাড়ী গুলো অবৈধ ভাবে পার্কিং করার কারনে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে ফলে ট্রাফিক পুলিশে চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে। কোমল মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীরের মুঠোফোনে কল করলে তিনি বলেন আমার গলায় সমস্যা আমি কথা বলতে পারবো না। এসব পরিবহনের বিরুদ্ধে প্রশাসন কি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন সেটার দিকে তাকিয়ে আছেন সাধারন পথচারী এবং ভুক্তভোগীরা।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।