সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
সেবা পেতে হলে দিতে হবে টাকা। ডিপিডিসর প্রতিটি ইট পর্যন্ত ঘুষ ছাড়া কিছুই বুঝেনা। এ ধরনের অভিযোগ ডিপিডিসর ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে। সিদ্ধিরগঞ্জ চিটাগাংরোড অবস্থিত ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউটার কোম্পানী লিমিটেড (ডিপিডিসি)র প্রকাশ্যে চলছে ঘুষ বানিজ্য। কেউ কেউ বলছে দুর্নীতির শীর্ষে ডিপিডিসি। নতুন বিদ্যুৎ এর সংযোগ আনতে লাগে মোটা অংকের ঘুষ। আবার যে কোন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অথবা সমস্যার সহযোগীতার চাইলে চাওয়া হয় ঘুষ। ডিপিডিসি কর্মকর্মাদের ঘুষ বানিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সিদ্ধিরগঞ্জের গ্রাহকরা। গত কয়েকদিন আগে সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির ইঞ্জিনিয়ার বশির এবং কম্পিটার অপারেটর সুজন বিশ্বাসের উপর ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তোলেন হিরাঝিল এলাকার বাসিন্দা ডাঃ নাজিম উদ্দিন। বিষয়টি গনমাধ্যমে প্রকাশিত হলে শুরু হয় নানা আলোচনা সমালোচনা। বেরিয়ে আসে থড়েল বিড়াল। একে একে আসতে শুরু করে ডিপিডিসির সেবার মান নিয়ে। গ্রাহকরা টাকা দিতে পারলে শুধু সেবা মেলে তাদের। নয় তোবা তাদের পোহাতে হয় বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার। এই হলো ডিপিডিসির কার্যকম। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে হরিরামের মত চলছে ডিপিডিসিতে লুটপাট। ডিপিডিসি এসব অসৎ কর্মকর্তারা মিলে মিশে দুর্নীতি করে কামিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। যেন দেখার মত কেউ নেই। সিদ্ধিরগঞ্জে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাটারী চালিত অবৈধ অটোরিক্সার গ্যারেজে, মেল কল-কারখানাসহ অনেক খানে অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে এসব অসাধু কর্মকর্তারা। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বিষয় গুলো নজরে না থাকায় ডিপিডিসর গ্রাহক সেবার মান দিনদিন কমতে শুরু করেছে। তবে উক্ত অভিযোগের বিষয়ে ডিপিডিসর কম্পিউটার অপারেটর সুজন বিশ^াস বলেন আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। আমি কাহারো কাছে কোন ধরনের টাকা চাইনি। ইঞ্জিনিয়ার বশিরের সাথে তার অফিসে দেখা করতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিপিডিসির এক স্টাফ বলেন, ইঞ্জিনিয়ার বশির দুপুর ২ টার আগে অফিসে আসেনা। উনার যখন খুশি উনি তখন অফিসে আসেন এবং প্রতিটি ইঞ্জিনিয়ারের টেবিলের ডোয়ারে গ্রাহকদের ফাইল আটকে রেখেছে তারা, চেক করলে নাকি যেসব গ্রাহকদের ফাইল পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির নির্বাহী প্রকোশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যদি আমার স্টাফ সুজন বিশ্বাস কোন গ্রাহকের কাছে অনৈতিক ভাবে টাকা চায় তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং গ্রাহক ডাঃ নাজিম উদ্দিনকে তার সাথে দেখা করতে বলেন। ইঞ্জিনিয়ার বশির আহাম্মেদ অফিসে দেরিতে করে আসার বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন উনি দুপুর ২ টায় দিকে আসে এটা সঠিক নয়, তবে এটা ঠিক উনি একটু দেরিতে আসে। কারন আমাদের ফিঙ্গার মেশিন আছে কে কয়টা আসে সেটা আমাদের রেকর্ড আছে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।