ডেস্ক রিপোর্টঃ ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে লঞ্চটিতে আগুন লাগে বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন। এ সময় বেশির ভাগ যাত্রীই ঘুমে ছিলেন। ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলে এলে লঞ্চ থেকে কিছু যাত্রী নামতে পেরেছেন।.
আহতরা জানিয়েছেন, লঞ্চটি বরগুনা যাচ্ছিল। এ সময় যাত্রীদের বেশিরভাগই ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি লঞ্চঘাটের কাছাকাছি পৌঁছালে লঞ্চের স্টাফরা ঝালকাঠির যাত্রীদের ঘাটে নামার জন্য ডাকতে থাকেন। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই আগুন দেখতে পেয়ে দিকবিদিক ছুটতে শুরু করে যাত্রীরা। এ সময় কেউ কেউ ঝাপিয়ে নদীতে পড়ে। অধিকাংশ যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় কাতরাতে দেখা গেছে।.
আগুনে এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৮০-৯০ জন। হতাহতদের বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। .
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, লঞ্চে পাঁচ শতাধিক যাত্রী থাকলেও আগুনে ৭০-৮০ জন দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধ বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।.
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি সদরের ধানসিড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলে এমভি অভিযানের ইঞ্জিন রুমে আগুন লাগে। দ্রুতই তা পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়লে প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই নদীতে ঝাপ দেন। লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, লঞ্চে শিশু, বৃদ্ধ, নারীসহ ৫শ'র বেশি যাত্রী ছিলেন।.
খবর পাওয়ার পরপরই উদ্ধার কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা। তবে,কুয়াশার কারণে উদ্ধার কাজে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। এদিকে আহত ৭০ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।.
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।