মোঃ আবুল বাসার,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার ৩নং চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ চরক্লার্ক গ্রামে অন্তত ৪/৫টি পরিবারের একমাত্র চলাচলের সরকারি রাস্তায় বাঁশের কঞ্চি ও কাঁটা দিয়ে পথ বন্ধ করাসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার আত্মীয় পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চেয়ে আলী আহম্মদ এর পুত্র মোঃ ফারুক (৩৫) নামের এক ভুক্তভোগী নোয়াখালী জেলা অতিরিক্ত প্রশাসক (রাজস্ব), সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চরজব্বর থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সরে জমিনে গিয়ে জানা গেছে, সরকারি বেড়িবাঁধের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দিয়ে ফারুক হোসেনের পরিবার প্রায় ৩০ বছর যাবৎ চলাচল করে আসছে, গত ৫ আগষ্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও চর আমানুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদ ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার কামাল হোসেনের নির্দেশে পাশবর্তী বেলাল হোসেন এর পরিবারের লোকজন
প্রতিবেশীদের চলাচলের জন্য একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। এদিকে রাস্তায় চলাচলে বাধা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্কুল, কলেজ, মাদরাসাগামী ছাত্র ছাত্রীসহ ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী ৪/৫টি পরিবারের মানুষজন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী প্রতিবেশী ফারুক হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন বাধা দিলে নানা রকম হুমকি ধমকি সহ ভয়ভীতি দেখান বেলাল ও তার পরিবারের লোকজন।
ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন জানান, রাস্তাটি দিয়ে প্রায় ৩০ বছর যাবত আমার পরিবারসহ আরো ৪/৫ টি পরিবারের মানুষ চলাচল করে আসছে। এটা সম্পূর্ণ খাসজমি, আট বছর আগে রাস্তাটি তাদের দাবী করে স্থানীয় গর্ণমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ষ্টাম্পে স্বাক্ষর করে বেলাল হোসেন আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয়, গত ৫ আগষ্ট পট পরিবর্তনের পর হঠাৎ রাস্তাটি ঘিরে বাধা সৃষ্টি করে বেলাল হোসেন। রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় আমার পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না, আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি, এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবী করছি।
অভিযুক্ত বেলাল হোসেন বলেন, ফারুক হোসেনের চলাচলের রাস্তাটি সরকারি জায়গা হলেও আমাদের দখল শর্তের কারণে আমরা পথ বন্ধ করে দিয়েছি। ৭০ হাজার টাকা দিলে রাস্তা খুলে দিবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা কামাল মেম্বার অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ফারুকের উপর আমার পূর্বের ক্ষোভ রয়েছে, বেলাল হোসেনকে আমি পথ বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি, ফারুক আমাকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছে, আরো ৬০ হাজার টাকা দিলে পথ খুলে দেওয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে চরজব্বর থানা অফিসার ইনচার্জ শাহীন মিয়া জানান, পথ বন্ধ করে দেওয়ার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।