ডেস্ক রিপোর্টঃ
স্টোর রেন্ট ফাঁকি দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যন্ত্রপাতি খালাসের প্রতারণায় জড়িত চক্রের হোতা তৌহিদুল ইসলাম শুভকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বুধবার রাজধানীর সোবহানবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে স্টোর রেন্ট ফাঁকি দেওয়ার প্রক্রিয়ায় জড়িত বলে জানা গেছে।
শুভ নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে মেজর পদের ভুয়া পরিচয়পত্র, ভিজিটিং কার্ড, আটটি মোবাইল ফোন, ১০টি সিমকার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই এবং একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। শুভর বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় প্রতারণাসহ দুটি এবং রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় প্রতারণার দুটি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়া গোয়ালন্দ থানায় একটি সাজা পরোয়ানাসহ চারটি পরোয়ানার তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায় যে, বসুন্ধরা মাল্টি স্টিল কোম্পানি লিমিটেড মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানা স্থাপনের জন্য বিশেষ সুবিধায় ১৩৯টি কন্টেইনারে মূল্যবান যন্ত্রপাতি আমদানি করে। তবে যথাসময়ে খালাস না হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে বসুন্ধরা কোম্পানির প্রায় ৯২ কোটি টাকা স্টোর রেন্ট বকেয়া পড়ে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বসুন্ধরা মাল্টি স্টিল কোম্পানী রেন্ট মওকুফের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করে। সেটি বিবেচনাধীন থাকাকালে বসুন্ধরা গ্রুপ অব কোম্পানির সিনিয়র ম্যানেজার ফয়েজুর রহমান প্রতারক চক্রের সদস্য আবু হানিফা ও আমিনুল ইসলামের কাছ থেকে একটি রেন্ট মওকুফের চিঠি পান। তিনি সেটি দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যন্ত্রপাতি খালাসের চেষ্টা চালান।
তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারে মওকুফের চিঠিটি জাল। এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ গত ১৫ মে একটি মামলা করে। এরপর সিআইডি চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের ওপর তদন্তভার ন্যস্ত করা হয়। পরবর্তীতে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের (সিপিসি) সহায়তা ও তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে অভিযুক্ত তৌহিদুল ইসলাম শুভকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।