সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার দেবহাটায় আব্দুস সালাম (৩০) নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের দাবি, নিজ স্ত্রীকে অন্য একজন পুরুষের সঙ্গে ঘুরতে দেখে তা সইতে পারেননি সালাম। আর তাই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের বহেরা মাঝের পাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। দেবহাটা থানার ওসি শেখ মাহমুদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, নিহতের সঙ্গে ১০ বছর আগে পুষ্পকাটি (কলখালী) গ্রামের আহাদ গাজীর কন্যার বিয়ে হয়। তাদের পরিবারে ৮ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
নিহতের বাবা আব্দুল মজিদ গাজী জানান, তার ছেলের স্ত্রীর সঙ্গে একই গ্রামের মিলন নামে আরেকজন ব্যক্তির পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সূত্র ধরে মিলন বিভিন্ন সময় গোপনে আসা-যাওয়া করতেন। এমনকি একাধিকবার বাড়িতে তাদের হাতেনাতে ধরা হয়। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে কয়েকবার সালিশি বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু বারবার সালিশ করার পরও তারা ওই পরকীয়ার সম্পর্ক থেকে বের হননি। ২০ দিন আগে আব্দুস সালামকে গ্যারান্টার করে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ২০ হাজার উত্তোলন করেন তার স্ত্রী। টাকা উত্তোলন করার কয়েক দিন পর স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে জিনিসপত্র নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান ওই নারী। শুক্রবার (২১ জুন) সকালে সালাম তার স্ত্রী ও মিলনকে একসঙ্গে ঘুরতে দেখেন। হয়তো এ কষ্ট সহ্য না করতে পেরেই বাড়িতে ফিরে আড়ার সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন সালাম।
প্রথমে নিহতের ভাবি নাছিমা খাতুন সালামকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তার আর্তচিৎকারে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা ছুটে যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত দেহ মাটিতে নামায়। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে দেবহাটা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
দেবহাটা থানার ওসি শেখ মাহমুদ হোসেন জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।