নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে পৈশাচিকভাবে হত্যার শিকার ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লালচাঁদ সোহাগের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিএনপি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ নুরুল ইসলাম মনি এ সহায়তা প্রদান করেন।
রোববার (১৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সোহাগের পৈতৃক বাড়ি পাথারঘাটার কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে এ সহায়তা প্রদান করা হয়। এ সময় বরগুনা জেলা ও উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সহায়তা প্রদানের সময় নিহত সোহাগের স্ত্রী লাকি বেগম এবং ছেলে-মেয়ে উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে সোহাগের স্ত্রী লাকি বেগম বলেন, একটা মানুষকে কী নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে আপনারা তা দেখেছেন। আমার মত আর কোনো স্ত্রী এভাবে যেন স্বামীহারা না হয়। আমার ছেলে-মেয়ে আজ বাবাহারা হয়েছে। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
সহায়তা প্রদানের সময় নুরুল ইসলাম মনি বলেন, ঢাকায় নির্মমভাবে বরগুনার কাচিড়ার ছেলে সোহাগকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি দেখে তারেক রহমানের চোখ থেকে পানি ঝরেছে। তার নির্দেশনা অনুযায়ী সকল প্রকার সহায়তা দিয়ে পরিবারটির পাশে থাকবে বিএনপি। তবে সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এখন পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে। ঘটনাটি অনেকে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করে ফেসবুক ইউটিউবে প্রচারও করছেন। কিন্তু এতে লাভ হবে না।
তিনি বলেন, আমরা সকল হত্যাকাণ্ডকেই ঘৃণা করি। যদি বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের কোনো নেতাকর্মী এমন কোনো অপকর্ম করে, তাহলেও আমরা তারও ফাঁসি চাই। এছাড়াও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি সকল প্রকার সহায়তা দিয়ে ভুক্তভোগী সোহাগের পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দেন এই বিএনপি নেতা।
উল্লেখ্য, প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় সোহাগের। পরে ওই চাঁদার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় সোহাগের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ করেন অভিযুক্তরা। এরপর গত বুধবার বিকেলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে চাঁদার দাবিতে সোহাগকে আটকে রেখে দফায় দফায় চাপ প্রয়োগ করা হয়। এতেও চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে জনসম্মুখে সোহাগকে নির্মমভাবে পাথর মেরে হত্যা করা হয়।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।