নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
আবারো সিদ্ধিরগঞ্জ হয়ে উঠেছে অপরাধীদের স্বর্গ রার্জ্য। একই দিনে পৃথক তিনটি স্থান থেকে ৩ টি লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত ২ টি লাশই অজ্ঞাত।তবে কি কারনে হচ্ছে কেন হচ্ছে তার কোন হদিশ খুজে পাচ্ছে না প্রশাসন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর সাত্তার টিটু বলেন, অপরাধীদের খুজে বের করতে প্রশাসন সদা প্রস্তুত রয়েছে। আর কি কারনে এসব অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে তার খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে জালকুড়ি বাসষ্ট্যান্ড, দুপুরে গোদনাইল বার্মষ্ট্যান্ড ও বিকেলে সানারপাড় এলাকা থেকে লাশ গুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে পরিচয়হীন একজনের ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন লাশটি উদ্ধার করেন। সড়কের মাঝে ছিন্নভিন্ন মরদেহটি ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় পড়ে ছিলো। যে কারণে বুঝার উপায় নেই মরদেহটি নারী না পুরুষের।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে বুধবার রাতের যে কোনো সময় গাড়িচাপায় অজ্ঞাত ব্যক্তিটির মৃত্যু হয়। পরে মরদেহের ওপর দিয়ে একাধিক যানবাহন চলে যাওয়ায় সেটি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। নিহতের হাত ও পরনের জামা-কাপড় দেখিয়ে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
একই দিন দুপুরে গোদনাইল বার্মাস্ট্যান্ড এলাকার তেল ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন মেহেদীর পুকুর থেকে আনুমানিক ৩৫ বছরের অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই লাশটিও উদ্ধার করেন থানার উপ-পরিদর্শক জসিম উদ্দিন। এটি হত্যাকান্ড কিনা বা কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানায় পুলিশ।
অপর দিকে বিকেল ৩ টায় মধ্য সানারপাড় এলাকার খলিল মিয়ার বাড়ী থেকে লায়লা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লায়লা ওই বাড়ীর ভাড়াটিয়া। নিহতের স্বামী হোসিয়ারী ব্যবসায়ী শাহিন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সাত্তার টিটু জানান, গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরনে কোনো জামা কাপড় ছিলো না। মরদেহটি ঘরের মেঝে থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, জানতে পেরেছি নিহতের স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছে। পারিবারিক কলহে গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে কিনা বিষয়টি জানতে শাহিন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
একই দিন দুপুরে কদমতলী নয়াপাড়া এলাকা থেকে মরিয়ম নামে ১৬ বছরের এক স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে নিজের ওড়না পেঁছিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে মরিয়ম আতœহত্যা করে। সে কাঞ্চন মিয়ার বাড়ীর নিচ তলায় মা এর সাথে ভাড়া থাকতো। মরিয়ম কদমতলী এমডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার আত্নহত্যার কারণ জানা যায়নি।
এদিকে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল মেহেদি ইমরান সিদ্দিকী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুস সাত্তার মিয়া, পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম ও পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল আজিজ উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকটি লাশই ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।