,

বিএনপি ভোট বর্জন করার কারণ প্রমাণি হয়েছে–ডাঃ শাহাদাত হোসেন

ডেস্ক রিপোর্টঃ চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি: ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এই নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বিগত নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে গরু-ছাগল দেখা গেছে, এবারের ভোটের দিন যুক্ত হয়েছে বানর ও কুকুর। চট্টগ্রামের অনেক কেন্দ্রে ৭ থেকে ৮ বছরের বাচ্চাদেরও ভোট দিতে দেখা গেছে। প্রহসনের তামাশার ভোট, যেখানে নিজেরা নিজেরা ভোট করেছে সেখানেও এ অবস্থা। সুতরাং বিএনপি যে কারণে ভোট বর্জন করেছে তা সত্যি প্রমাণিত হয়েছে।

১৭ জানুয়ারি দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম নগরীর কা‌জির দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে নির্বাচন পরবর্তী চট্টগ্রামের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডাঃ শাহাদাত হোসেন এ কথাগুলো বলেন।

তিনি বলেন, ভোটের দিন চট্টগ্রামের ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি এতটাই কম ছিল যে কোথাও কোথাও মসজিদ থেকে মাইকিং করেও ভোটার আনা যায়নি। ঐদিন ভোট উৎসবের পরিবর্তে চট্টগ্রামে ভোট বর্জনের এক নিরব প্রতিবাদ ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ভোট পড়া নির্বাচনের মধ্যে অন্যতম হলো এ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আন্দোলনরত বিএনপিসহ সমমনা দল ও অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর দাবিকে অগ্রাহ্য করে তামাশার নির্বাচন করেছে সরকার।

তিনি আরো বলেন, সরকার বিএনপির নেতৃত্বে চলমান এক দফার আন্দোলনকে ভয় পায়। তাই মধ্য রাতের ভোট ডাকাত সরকার, পুলিশকে দিয়ে বিএনপির শতশত নেতাকর্মীকে আসামি করে উদ্ভট মামলা করেছে। বিএনপির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলা পরিকল্পিত ও মিথ্যা। রাষ্ট্রযন্ত্রকে কব্জায় নিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে সরকার ঠিকে আছে। প্রশাসন যন্ত্রকে তাদের অবৈধ ক্ষমতায় ঠিকে থাকার খুটি হিসেবে ব্যবহার করছে। এখন আইন আদালত, প্রশাসন, পুলিশ সবকিছুই শেখ হাসিনার হুকুমের দাসে পরিণত হয়েছে।
আমরা নির্বাচনের দিন চান্দগাঁও এলাকায় সংগঠিত ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা বিএনপি নেতা কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আগত সংবাদকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী বেলাল উদ্দিন, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, মাহবুব আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ূন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, কেন্দ্রীয় ড্যাবের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলম, মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত মো. ইদ্রিস আলী, মহানগর বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কারামুক্ত এমদাদুল হক বাদশা প্রমূখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *