,

কালিগঞ্জ দক্ষিণ শ্রীপুর জন্মনিবন্ধনে হয়রানি ও উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

শাহাদাত হোসেন,কালিগঞ্জ সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃকালিগঞ্জ উপজেলার ৪নং দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন করতে এসে সাধারণ মানুষ হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার। গুনতে হয় সরকার নির্ধারিত ফি”র অতিরিক্ত কয়েকগুণ বেশি টাকা। এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এমন ঘটনা দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের নিত্য দিনের ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা রাহুল রায়ের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।পরিষদের তথ্যকেন্দ্রকে পুঁজি করে শ্যামনগর উপজেলার বাসিন্দা ও গোবিন্দকাটি গ্রামের ঘরজামাই অনৈতিক ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। গুটি কয়েক দালালের মাধ্যমে তার অসৎ উদ্যেশ্য হাছিল করে আসছে।

বর্তমান সরকার জন্ম সনদ, মৃত্য সনদ বাধ্যতা মূলক করায় সাধারণ মানুষ এখন ইউনিয়ন পরিষদে ধর্ণা দিতে হয়। এসুযোগে ধুন্ধর ঘর জামাই রাহুল রায় হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা। চাহিদা মত টাকা না দিতে পারলে নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ভুক্তভোগীকে হতে হচ্ছে অযথা হয়রানী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, ১৫ জন সেবা প্রত্যাশী সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বসে আছে পরিষদে। কেউ এক মাস আগে, কেউ তিন মাস, কেউ ৬ মাস, আবার কেউ একবছরও ঘুরছে। আবার আগাম টাকা নিয়ে কাগজপত্র জমা দিলেও এখনো জন্মনিবন্ধন করতে পারেনি অনেকে। আবার অনেকের জন্মনিবন্ধনে ইচ্ছে করে ভুল করে বাড়তি টাকার জন্য হয়রানি করছে।

সেবা প্রত্যাশি দিনমজুর আকবর আলি এ প্রতিনিধিকে জানান, তার মেয়ের জন্মনিবন্ধন করতে ৬ মাস আগে ৬শ ৫০ টাকা ও কাগজপত্র জমা দেই উদ্যোক্তা রাহুলের নিকট। ছয় মাসের মধ্যে সে তিনবার আমাকে হয়রানি করেছে আরো খুশি করতে হয়েছে স্পীড খাওয়াইয়ে। আবার এপ্রিলের ১৫ দিন পরে আসতে বলে। আকবার আলীকে সাথে করে নিয়ে উদ্যোক্তা রাহুলের কাছে জানতে চাইলে সে সাংবাদিকের সাথে খারাপ আচরণ করেন।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে এসে অনেকেই ঘুরছেন মাসের পর মাস । ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম বলেন আমি গত ১১ মাস আগে আমি ও আমার স্বামী আমার সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে উদ্যোক্তা রাহুলের কাছে এসেছিলাম। আমার কাছ থেকে সে ৭শ ৫০ টাকা ও কাগজ পত্র জমা নেয়। এবং বলে সার্ভার সমস্যা হচ্ছে আপনি মাসখানেক পরে আসেন। মাস খানেক পরে আমি গেলে সে আমাকে বলে আপনি কোন কাগজপত্র জমা দেননি। এই বলে রাহুল রায় আমাকে হাকাইয়া বাহির করে দেয় এবং আমার সাথে খারাপ আচরণ করে। পরে উদ্যোক্তার রুমেই সাংবাদিকের উপস্থিতিতে বিভিন্ন কাগজপত্রের মধ্য থেকে খুঁজে ঐ কাগজপত্র পাওয়া গেলে উদ্যোক্তা রাহুল বলেন সব কিছু মনে থাকে না। আপনি আবার ১৫ দিন পরে আসেন। এইভাবে সে আমাকে ১১ মাসে ২২ বার হয়রানি করেছে। পরে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীর সহযোগিতায় হয়রানি থেকে মুক্তি পায়।

অভিযোগ আছে রাহুল উত্তর শ্রীপুর গ্রামের পিয়ার এর ছেলে আব্দুর রহমানের জন্মনিবন্ধন বাবত ৩ হাজার ৫শ টাকা আদায় করছেন দালালেন মাধ্যমে। তার বেপরোয়া চলাচলে অতিষ্ট নাগরিকসেবা নিতে আসা জনগন।
ইউপির উদ্যোক্তা রাহুলের এহেন কর্মকান্ডের বিষয়ে জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান গোবিন্দ মন্ডল বলেন রাহুলের বিরুদ্ধে অনেকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে, লিখিকভাবে কেউ অভিযোগ না করায় ব্যবস্থা নিতে পারছিনা। তবে ইউএনও স্যারকে বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।
অভিযুক্ত রাহুলের সাথে কথা হলে সে এপ্রতিনিধিকে জানায়, আমি পরিষদে কাজ করি, অনিয়ম করিনা। পত্রিকায় লিখে আমার কিছুই হবেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *