,

শ্যামনগর বাড়ি বাড়ি অনলাইন অক্সিজেন ব্যাংক স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন

শ্যামনগর প্রতিনিধি: বিনা অক্সিজেন ও রক্তের জন্য ঝড়ে পড়বে না কোনো প্রাণ- এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে, শ্যামনগর অনলাইন অক্সিজেন ব্যাংক চালু করেছেন।সুন্দরবন উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলায় দেশি-বিদেশি প্রবাসী ডোনার দের সহায়তায় গত (১৫মে ২০২১) থেকে শুরু হয়েছে অনলাইন অক্সিজেন ব্যাংক।এডমিন শেখ মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ২০ জনের অধিক অনলাইন অক্সিজেন ব্যাংক নামের একটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন গঠন করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে তারা নিজেদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রচার প্রচারণা করেন।

শ্যামনগর অনলাইন অক্সিজেন ব্যাংক প্রতিষ্ঠাতা বলেন, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে দেশে অক্সিজেন সংকট বেড়ে যায়। সেই কথা মাথায় রেখে শ্যামনগর ব্লাড ব্যাংকের সদস্যরা আবার নতুন করে শ্যামনগর অক্সিজেন ব্যাংক খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।সংগঠনের উদ্দেশ্য মানবিক ও সামাজিক কাজে অগ্রসর হওয়া এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থাকা।

এই মুহূর্তে উদ্যোগের বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। করোনা সংক্রমিত রোগীদের অনেক সময় শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এ সঙ্কট থেকে সাধারণ জনগণকে রক্ষা করতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হবে। দিন কিংবা রাতে ০১৭১১-৩৬৩৩৪১ নম্বরে একটি ফোন দিলেই শ্যামনগর উপজেলার যেকোনো এলাকায় রোগীদের কাছে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার।গভীর রাতেও অক্সিজেন নিয়ে রোগীর বাড়িতে যান স্বেচ্ছাসেবকরা। ফোন করার সঙ্গে সঙ্গে বিনামূল্যে অক্সিজেন পান রোগীরা।

শ্যামনগর অনলাইন অক্সিজেন ব্যাংকের স্বেচ্ছাসেবক এডমিন শেখ মফিজুর রহমান বলেন, ১৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক মিলে অক্সিজেন ব্যাংক চালু করি। রমজাননগর ও কৈখালী ইউনিয়নে তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত রোগীকে আমরা বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করেছি। তিনি আরো বলেন বাতাসের অক্সিজেনের অর্থমূল্য নির্ধারণের মাপকাঠি নেই। তবে সেই অক্সিজেন যখন সিলিন্ডার বন্দি হয় তখন তার আর্থিক মূল্য ধরা হয়। আমরা চেষ্টা করছি সমাজের হৃদয়বান মানুষের আর্থিক সহায়তায় বিনামূল্যে এই অক্সিজেন সেবা দিতে। একজন মুমূর্ষু রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার জন্য সিলিন্ডারের পাশাপাশি একটা ফুল সেট এর প্রয়োজন হয়।একটি সেট তৈরি করতে আমাদের অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে আমাদের দুটি সেট রয়েছে। যদি আরো কয়েকটি সেট থাকত তাহলে আরও বেশি মানুষকে সেবা দিতে পারতাম। এ ব্যাপারে বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন মফিজুর রহমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *