,

স্বপনের লাশ ৭ টুকরা করে ভাসিয়ে দেয় শীতলক্ষ্যায়

স্টাফ রিপোর্টার:

অবশেষে উন্মোচন হলো ২১ মাস আগেস্বপন কুমার সাহা হারিয়ে যাওয়ার রহস্য। বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট  আশেক ইমামের আদালতে রত্না চক্রবর্তী ও মেহদী মহসিনের আদালতে আব্দুল্লাহ আল মামুন নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জের কাপড়ের ব্যবসায়ী  স্বপন কুমার সাহাকে  অপহরন ও হত্যা মামলায় নিজেদের দায়  স্বীকার করে  আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে । পরে তাদের দুইজনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতে দেয়া জবানবন্দির  বরাত দিয়ে জানা যায়, স্বপনের সাথে পিন্টু দেবনাথের কলকাতায় কেনা ফ্লাট ও বান্ধবী রতœার  সাথে স্বপনের অবৈধ  সম্পর্কে জের ধরে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয় বলে আদালতে রতœাচক্রবর্তী স্বীকার করেছেন।

সদ্য এসপি পদে পদন্নোতি প্রাপ্ত নরায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুাপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রবীর চন্দ্র হত্যা মামলার তদন্ত করেতে  গিয়ে বেরিয়ে আসে পিন্টু দেবনাথ  ২১ মাস আগে তাঁর আরেক বন্ধু নিখোঁজ স্বপন কুমার সাহাকে হত্যার রহস্য।

২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর  বিকেলে  পূর্ব পরকল্পিতভাবে পিন্টু দেবনাথের বান্ধবী রতœাচক্রবর্তী স্বপন সাহাকে দৈহিক সম্পর্ক করার কথা বলে মাসদাইরের বাসায় মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়।  স্বপন ওই বাসায় গেলে রতœা পিন্টু দেবনাথকে মোবাইল ফোনে জানায়।

পিন্টু দেবনাথ কালির বাজারের একটি কনফেকশনারীরর দোকান  থেকে তিনটি ফ্রুটিকা জুসের বোতল নিয়ে যায়। একটি জুসের বোতলে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে কৌশলে খাইয়ে দেয়।

এক পর্যায় স্বপন অচেতন হয়ে পড়লে শিল দিয়ে পিন্টু দেবনাথ তাঁর মাথায় আঘত করে মৃত্যু নিশ্চিত  করে। পরে বাথরুমে নিয়ে পিন্টু দেবনাথ লাশ  সাত টুকরা করে বাজারের ব্যাগে ভরে  শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে  দেয়।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হয় কালিরবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ। নিখোঁজের ২১ দিন পর সোমবার (৯ জুলাই) শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঠান্ডু মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের টুকরো করা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পিন্টুকে গ্রেফতারের পর একের পর এক লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের অজানা কাহিনী বের হয়ে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *