,

১ অক্টোবর থেকে শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় হর্ন বাজালে গুনতে হবে জরিমানা

বিমানবন্দরের চারপাশের দেড় কিলোমিটার এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে ডিএনসিসি

ডেস্ক রিপোর্টঃ শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চারপাশের দেড় কিলোমিটার এলাকাকে “নীরব এলাকা” হিসেবে ঘোষণা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেন এ তথ্য জানান।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসি বলেছে, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০৬ এর বিধি-৪ অনুযায়ী শাহজালাল বিমানবন্দর ও তার আশপাশের এলাকাকে (স্কলাস্টিকা স্কুল থেকে হোটেল লো মেরিডিয়ান পর্যন্ত) “নীরব এলাকা” ঘোষণা করা হলো।

আগামী ১ অক্টোবর থেকে তা কার্যকর হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, মোবাইল ফোন গ্রাহকদের কাছে এ বিষয়ে একটি এসএমএস পাঠিয়েছে সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, “বিমানবন্দর (HSIA) এলাকায় এবং প্রধান সড়কের উত্তরার স্কলাস্টিকা ক্যাম্পাস থেকে লা মেরিডিয়ান হোটেল পর্যন্ত নীরব এলাকাতে হর্ন বাজানো নিষেধ। হর্ন বাজালে কারাদণ্ড বা জরিমানা হতে পারে।”

এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ১ অক্টোবর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকার পরিবেশ সুরক্ষায় যানবাহনের হর্ন বন্ধে একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও বিমানবন্দরের দক্ষিণ দিকে লো মেরিডিয়ান থেকে উত্তর দিকে স্কলাস্টিকা ক্যাম্পাস পর্যন্ত রাস্তায় হর্ন বাজানো বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বিমানবন্দর এলাকাকে হর্ন মুক্ত এলাকা ঘোষণা করা; সব স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক স্লোগান সম্বলিত ব্যানার, বিলবোর্ড ইত্যাদি স্থাপন; লিফলেট বিতরণ; ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রচারণা কার্যক্রম; যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ; হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের ভেতরে যথাযথ পার্কিং; বিআরটিএ এর মাধ্যমে গাড়ি চালক ও মালিকদের ক্ষুদে বার্তা দেওয়া, আইন অমান্যকারীদের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।

এছাড়া, ১ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ৭ দিনের জন্য লা মেরিডিয়ান থেকে উত্তর দিকে স্কলাস্টিকা ক্যাম্পাস পর্যন্ত তিনটি পয়েন্টে মোবাইল কোর্ট সক্রিয়ভাবে কাজ করবে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মেয়াদ বৃদ্ধি পেতে পারে। লা মেরিডিয়ানে পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেটরা, বিমানবন্দরের সামনের গোলচক্করে বেবিচকের ম্যাজিস্ট্রেটরা এবং স্কলাস্টিকা পয়েন্টে বিআরটিএ এর ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন। এক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশ, ভলান্টিয়ার, শিক্ষার্থী ও বাস-ট্রাক মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা তাদের সহযোগিতা করার জন্য থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *