,

আটুলিয়া নদীর চর ও সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গায় উন্মুক্ত রাখার দাবিতে মানববন্ধন

মোঃ ফরিদুজ্জামান ফরিদ, শ্যামনগর সাতক্ষীরাঃ শুক্রবার ( ৮ আগস্ট) সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলায় নওয়াবেঁকী খেয়াঘাটের দক্ষীন পাশে নির্মান সামগ্রী রাখার নামে বন বিভাগের বনায়নের গাছ কর্তন করে ভূমি দখলের অভিযোগে মানববন্ধন করছে বনবিভাগের কর্মকর্তা ও সাধারণ জনগণ । এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগরে নওয়াবেঁকী বাজার সংলগ্ন ফেরিঘাটের পাশে একটি বনায়ন কর্মসূচী গড়ে উঠছে ৭-৮ বছর আগে সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও রয়েছে। এই বনায়ন কর্মসূচী পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা বন বিভাগ। সেই বনায়নের জায়গায় গাছগুলো নষ্ট করে সেখানে বালি ভরাট করে পরবর্তীতে সেই জায়গাটি দখল করবে বলে পায়তারা চালাচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল ।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নওয়াবেঁকী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান মিঠু, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রব (বাপ্পি),ছফিরুন নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ইংরেজি জি এম নাসির উদ্দীন ,বনবিভাগের সদস্য রেজোয়ান, মোঃ বুলবুল হোসেন, মোঃ আব্দুল খালেক, মোঃ শহীদুল ইসলাম।
মোঃ আব্দুর রহমান , সাবেক মেম্বার মোঃ আবুল বাশার।গাজী আল আমিন, মোঃ হাসান মাহমুদ জনি, মোঃ হোসেন মাহমুদ রনি,প্রমূখ

নওয়াবেঁকী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান মিঠু বলেন বনবিভাগের জায়গা ব্যবহার করে বালি উত্তোলন করবে প্রভাবশালী একটি মহল ,মুন্সীগঞ্জ টু সাতক্ষীরা সড়ক পথে কাজ হবে ,তো আটুলিয়ার চর ব্যবহার করে বালু ,পাথর,রাখতে হবে কেন। মুন্সীগঞ্জ কিংবা কালিগঞ্জ কাকশিয়ালী নদী চরে রাখতে পারত.সেটাই তো সহজ এবং কাজের জন‍্য সুবিধা জনক হবে বলে মনে হয়।তাহলে সহজ পথ বাদ দিয়ে এতে দুরে বালু – পাথর রাখা উদ‍্যেশ‍্য কি।

এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসন হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান জুলেট বলেন নদীর চর বাদ দিয়ে, ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ, না হলে স্কুল মাঠ রাখার ব্যবস্থা করলে তো হয় ।

নদী চরে বালি ভরাটের উদ্দেশ্য করে , জায়গা দখল করার পরিকল্পনা,এ ছাড়া আর কিছুই নয়, ধিক্কার জানাই উপকূলীয় শত্রুদের যারা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য এমন ঘৃণিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।

অন্যদিকে চর দখল করিদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিনি বলেন,আমরা চেষ্টা করছি যাতে আটুলিয়া খেয়া ঘাটের দক্ষিণ পাশে সংরক্ষিত এই বনাঞ্চল সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবেই গড়ে উঠতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *