,

আশাশুনিতে নদীর চরে ফেলে দেয়া নব জাতক হত্যার সন্দেহের তীর কথিত ডাঃ শাহিন এর দিকে

আহসান উল্লাহ বাবলু,সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটি ব্রিজের নিচে বেতনা নদীর চরে হত্যার উদ্দেশ্যে ফেলে যাওয়া শিশুটি সকল জল্পনা কল্পনার করার পর অবশেষে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে । গতকাল ওসি গোলাম কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানাগেছে ফকরাবাদ গ্রামের কার্ত্তিক মন্ডলের পুত্র মিরনময় মন্ডল এর স্ত্রী দিপিকা মন্ডল সিজারিয়ান অপারেশন করার জন্য গত ১২ জুলাই বুধহাটা বাজারস্থ্য জনসেবা ক্লিনিকে ভর্তি হন। ঐদিন রাতে দিপিকার সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর গর্ভে কন্যা সন্তানটি বিকলঙ্ক হওয়ায় ডাক্তার,নার্স প্রসুতির পিতা সন্দীপ সরকার, মাতা উর্মি রানী সরকার,স্বামী মিরনময় মন্ডলের যোগ সাজসে ঐদিন ভোর রাতে গুনাকরকাটি ব্রিজের নিচে বেতনা নদীর চরে হত্যার উদ্দেশ্যে ফেলে দেওয়া হয়। ফজরের নামাজ শেষে মুসল্লিরা নবজাতক শিশুটি কান্নার শব্দ শুনতে পায়। এরপর স্থানীয় জনগন আশাশুনি থানা স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে অবহিত করেন। এম পি আ.ফ.ম রুহুল হকের হস্তক্ষেপে শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৩ জুলাই সকাল ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘক্ষন চিকিৎসা শেষে নবজাতক শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এদিকে গ্রাম পাড়া মহল্লাহ শিশুটির মৃত্যু নিয়ে সন্দেহের তীর জনসেবা ক্লিনিকের অনভিজ্ঞ কথিত ডাঃ শাহিন প্রসুতির পরিবার সহ তার ক্লিনিকের নার্স নারর্গিসের দিকে। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক প্রশিক্ষন প্রাপ্ত কয়েক জন ধাত্রী বলেন শিশুটি সিজারিয়ান অপারেশনের পর কিছুক্ষনের মধ্যে তার নাড়ী সহ বিভিন্ন আনুসঙ্গীক কিছু কাজ করতে হয়। কিন্তু শিশুটি যখন নদীর চরে জিবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে তখন শিশুটির নাড়ী তার শরীরের সাথে লাগানো ছিল। এখন নবজাতকের মৃত্যু নিয়ে কে দায়ী প্রশ্ন উপজেলা বাসির।এছাড়া জনসেবা ক্লিনিকে অনভিজ্ঞ ডাক্তার নার্সদের কারনে এমন কোন বছর নেই দু – পাঁচ জন মা এবং নবজাতকের লাশ হয়ে ফিরে বাড়ি যেতে হয় । এব্যাপারে জনসেবা ক্লিনিকের কথিত ডাঃ শাহিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন । এলাকাবাসি নাড়ি কাটা এবং অন্যন্য বিষয় নবজাতককে নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছে তা তাদের ভুল ধারনা । কারণ শিশুটি বিকলঙ্ক অবস্থায় ভুমিষ্ঠ হয়েছে। শিশুটির নাড়ী ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ি কেটে সজনদের কাছে দেওয়া হয়েছে। তারা যদি শিশুটির সাথে ঐসকল জিনিস ফেলে দেয় তাতে আমাদের কি করার আছে বলে তিনি দাবি করেন। নবজাতক হত্যার বিষয় সজনদের ভিডিও ফুটেজে পৃথক পৃথক বক্ত্যবে বলা হয়েছে দিপিকার শশুর বাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল না ? তার উপর বিকলঙ্গ কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করেছে । দিপিকার মাতা উর্মি রানী বলেন ঐদিন ক্লিনিকে আর কেউ না থাকায় আমার ভরসাম্যহীন স্বামী কে দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরায় পাঠানো হলে তার ভ্রান্তি ধারনার কারনে এমটি হয়েছে। এর জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *