বিশেষ প্রতিবেদকনিকাব পরে ভাইবায় অংশ গ্রহণের কারণে ভাইবা বোর্ড থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে ২১জানুয়ারি ২০২৪ ইং রবিবার বেলা ১১-৩০টায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে শাখা সভাপতি মুহাম্মাদ আল আমিন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন রাহাতের সঞ্চালনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য মুহাম্মাদ নাঈম উদ্দিন।
পর্দা মুসলিম নারীর রক্ষা কবচ ও আত্মপরিচয়ের হাতিয়ার। কিন্তু স্বাধীন দেশের একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীর অধিকারের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের এমন নগ্ন হস্তক্ষেপ ও কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে চরমভাবে আঘাত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি মুহাম্মাদ আল আমিন।
সভাপতি মুহাম্মাদ আল আমিন বলেন, সম্প্রতি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে নিকাব না খোলায় বিভাগীয় সেমিস্টার ফাইনালের ভাইবা থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ও নাগরিক অধিকার হরণ করার নামান্তর।
সভাপতির বক্তব্যে মোঃ নাঈম উদ্দিন বলেন যে,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের ইস্যু নিয়ে আমাদের মানববন্ধন করতে হচ্ছে,বিষয়টি আমাদের জন্য লজ্জাজনক।নেকাব না খোলায় ভাইভা বোর্ড থেকে বের করে দেওয়া এটা সংবিধানের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিধানকে লঙ্ঘন করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন যে,এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রেখে
এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখবেন বলে আশাকরি।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আল-ইমরান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ সাজ্জাদ সাব্বির,দাওয়াহ সম্পাদক মো: আনওয়ার ইসলাম,তথ্য-গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মো: আবু সাঈদ, প্রকাশনা দফতর সম্পাদক নেয়ামাতুল্লাহ আল ফারিস, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক আবু হুরায়রা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মো: ইসমাইল হোসেন তাকবির ও কার্যনির্বাহী সদস্য মো: আমানুল্লাহ সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।