নিউজ ডেস্ক:এশিয়ায় জ্বালানি তেলের দাম ফের বেড়েছে ৩ শতাংশ। ইউএস ক্রুডের চাহিদা বাড়ায় ও ডলারের দুর্বল প্রবণতার কারণেই মূলত তেলের দাম বেড়েছে। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ভোর ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে দেখা যায়, ব্রেন্ট ক্রুডের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ২৫ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৯৫ দশমিক ৯৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। তা ছাড়া ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডেয়েট ক্রুডের মূল্য ১৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৮৮ দশমিক ১০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের মজুদ ও রপ্তানি বেড়েছে। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দৈনিক রপ্তানি বেড়েছে ৫১ লাখ ডলার, যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি ডলারের মূল্যও কমেছে। ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে বিপাকে পরে আমদানিকারকরা। এখন ডলার কিছুটা দুর্বল হওয়ায় অন্যান্য মুদ্রায় তেল কেনার খরচ কমবে। ইউরোপ আগামী মাসে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করবে ও বৈশ্বিক শিপিং বিমাশিল্প থেকে রাশিয়ান শিপারদের সীমাবদ্ধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে দাম বাড়তে দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয় ওপেক প্লাস। এরপরই হোয়াইট হাউস ও সৌদি রাজ পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। ডেমোক্রেটদের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় মনে হয়েছে দীর্ঘদিনের সহযোগীকে তারা পরিত্যাগ করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ উপসাগরীয় দেশগুলো।
জ্বালানি আমদানির জন্য ২ বিলিয়ন ডলার দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
নসরুল হামিদ বলেছেন, শিল্পের জন্য জ্বালানি আমদানিতে ১ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হলে তা রপ্তানি আয়ের আকারে ৪ বিলিয়ন ডলার হয়ে ফিরে আসবে। শিল্পের জন্য যদি প্রয়োজনীয় জ্বালানি নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে আমাদের রিজার্ভে ৩৬ বিলিয়ন ডলার রাখার কোনো মানে নেই। এভাবে সরবরাহ সংকট চলতে থাকলে শত শত কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শিল্প চালু রাখতে হলে যেকোনো মূল্যে জ্বালানি আমদানি করতে হবে। শুধু জ্বালানি আমদানি বন্ধ করার কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে না, কারণ আমাদের বাড়তি ২০০ মিলিয়ন খরচ করতে হবে। সেখান থেকে যদি এটুকু টাকা খরচ করা না যায়, তাহলে রিজার্ভের কার্যকারিতা কী? উৎপাদন কমে গেলে রপ্তানি আয়ও কমবে। ফলে রিজার্ভ বাড়ানোর কোনো সুযোগ থাকবে না।
ফার্নেস তেলভিত্তিক কেন্দ্রে থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউনিটপ্রতি খরচ হয় ১৭ টাকা, ডিজেলভিত্তিক কেন্দ্রে ব্যয় ৩৭ টাকা এবং গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রে ব্যয় হয় ৩ টাকা থেকে ৩.৫ টাকা।
নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) যেন ফার্নেস তেল আমদানি করতে পারে, সেজন্য তাদের এলসি সীমা বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বলবে সরকার।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply