,

কপিলমুনিতে সন্ত্রাসীর দায়ের কোপে দুই সহোদর মারাত্মক জখম

এক,কে আলীম,কপিলমুনি খুলনা।। পাওনা টাকা চাইতে যাওয়ায় কপিলমুনিতে দুই সহোদরকে দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে তারা খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও ছোট ভাই মেহেদি মল্লিক(২৫) রয়েছে জীবন মৃত্যূর সন্ধিক্ষনে। তার কোমর থেকে বাম পাশের পেট বরাবর ধারালো দায়ের কোপে প্রায় ৯ ইঞ্চি কেটে যেয়ে নাড়িভূড়ি বেরিয়ে যায়। ফুসফুসেও খানিকটা ক্ষত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহষ্পতিবার রাত ১০ টায় রেজাকপুর-নাছিরপুর পান্জেগনা মসজিদের সামনে। আহত দুইভাই হাসান মল্লিক (৩৫) মেহেদি মল্লিক (২৫) নাছিরপুর গ্রামের আফছার মল্লিকের ছেলে। আহতদের পারিবারিক সূত্রে জানাযায়,একই গ্রামের শাহাজান বিশ্বাসের ছেলে মোহিদ বিশ্বাসের কাছে মেহেদির পাওনা ৭ হাজার টাকা সে ঘটনার দিন রাত ৮ দিকে চাইতে যায়। এসময় মোহিদ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথম দফায় মেহেদিকে মারপিট করলে সে বাড়ি যেয়ে ঘটনাটি জানায়।এরপর মেহেদির বড় ভাই হাসান কয়েকজন পাড়া প্রতিবেশীকে নিয়ে মেহিদের বাড়িতে মারপিটের কারণ জানতে যায়। মোহিদ বাড়িতে না থাকায় তারা ফিরে যায়।পরে মোহিদ বাড়িতে এসে এঘটনা শুনে টাকা দেবে বলে ফোনে মেহেদিকে ঘটনাস্থলে ডাকে।সেখানে মেহেদি সহ তার বড় ভাই আসা মাত্রই পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ভাড়া করা এলাকার দুঃধর্ষ সন্ত্রাসী লিটন সরদার সহ হাসিব সরদার,রাব্বি বিশ্বাস,মামুন গাজী তাদেরকে ঘিরে ফেলে। এরপর লিটন ধারালো দা দিয়ে মেহেদিকে কোমরে সজোরে কোপ দেয়। এসময় বড় ভাই হাসান ঠেকাতে গেলে তার হাতে কোপ দিয়ে তাকেও মারাত্মক জখম করে।ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা আহতবস্থায় তাদেরকে প্রথমে কপিলমুনির একটি ক্লিনিকে আনারপর
সেখান থেকে ওই রাতে তাদেরকে তালা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়।ডাক্তার জানিয়েছেন মেহেদি এখনও শঙ্কামুক্ত নয়।এঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে মেহেদির পরিবার জানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *