,

কালিগঞ্জের দুই সন্তানকে হত্যার ঘটনায় মা রত্না কে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী শেষে জেল হাজতে প্রেরণ

হাবিবুল্লাহ বাহার,স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে কালিকাপুর দুই সন্তানকে হত্যার ঘটনায় মা রত্না কে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।। স্বামী ও স্ত্রীর বিরোধকে কেন্দ্র দুই শিশু সন্তানকে বিষ পান করিয়ে হত্যার পর মা বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় পুলিশ ওই মাকে গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার দুপুর দুইটার দিকে তাকে সাতক্ষীরা সদরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মা আঞ্জুয়ারা রত্না রবিবার বিকেল সাতক্ষীরার আমলী আদালত-৮ এর বিচারক মোঃ সালাহউদ্দিনের কাছে ১৬৪ ধরায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।স্বীকারোক্তি প্রদানকারি আঞ্জুয়ারা রত্না (২২) কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পূর্ব কালিকাপুর গ্রামের শেখ মাহামুদুল হাসান ক্বারীর স্ত্রী।মাহামুদুল হাসান ক্বারীর ছেলে আরিয়ান আবরার(৬ মাস) ও মাহির আরবার (৬ বছর)। নিহত দুই শিশুর দাদা আব্দুল আজিজ শেখ হানান, তার ছেলে মাহামুদুল হাসান দিনমজুরের কাজ করতো। প্রায় ৯ বছর আগে আঞ্জুয়ারা রত্নার সাথে তার ছেলের বিয়ে হয়। অভাবের সংসারে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মাঝে বিরোধ হতো। এমনই এক পর্যায়ে ২৯ জানুয়ারি দুপুরের দিকে দুই সন্তানকে নিয়ে ঘরের মধ্যে অবস্থান করছিলেন হাসানের স্ত্রী রত্না বেগম। একপর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে কীটনাশকের গন্ধ পেয়ে রত্নাকে ভিতর থেকে আটকানো দরজা খুলতে বলেন তিনি। তবে দীর্ঘক্ষণ কোন সাড়া না শৌচাগারের দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকে খাটের উপর আরিয়ান আবরার ও মাহির আবরারসহ তাদের মাকে সঙ্গাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত সবাইকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ জিয়াউর রহমান আরিয়ান ও মাহিরকে মৃত ঘোষনা করেন। রত্নার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, দুই পোতার মৃত্যুর ঘটনায় আব্দুল আজিজ শেখ বাদি হয়ে ৩০ জানুয়ারি আঞ্জুয়ারা রত্নার নাম উল্লেখ করে পেনাল কোডের ৩০২/৩০৯ ধারায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামী আঞ্জুয়ারা রত্না রবিবার বিকেলে সাতক্ষীরার আমলী আদালতের বিচারক মোঃ সালাহউদ্দিনের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *