,

কালিগঞ্জে প্রেমজ সম্পর্কের জেরে মেয়ের বাবার দায়ের করা মামলায় তিন ভাই জেলে

শাহাদাত হোসেন,কালিগঞ্জ সাতক্ষীরাঃসাতক্ষীরার কালিগঞ্জে প্রেমজ সম্পর্কের জেরধরে মেয়ের বাবার দায়ের করা মামলায় তিনভাই জেলে। অসুস্থ্য বৃদ্ধ পিতার আর্তনাদ আর নানান আকুতি, মেয়ে ঘরে তালাবন্দী। ঘটনাটি উপজেলার শীবপুর গ্রামে ঘটেছে।
অভিযোগ ও সরেজমিন সূত্রে জানাগেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের শীবপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র আরিফুল ইসলাম (২০) এর সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে উঠে একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের কন্যা শাহানাজ মুন্নী (১৯) এর সাথে। একপর্যায়ে তাদের সম্পর্ক গোপনে বিয়েতে রূপ নেয়। মেয়ের পরিবারে বিষয়টা জানাজানি হলে ঘটনাটি ভিন্নখাতে রূপনেয়। ২৬/৭/২২ তারিখে মেয়ের বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও খ্যান্ত হয়নি। ২৭/৭/২২ তারিখে রাত সাড়ে ৮ টায় সম্পুর্ণ কাল্পনিক একটি ঘটনার অবতারণ করে ছেলে ও ছেলের পরিবারকে শায়েস্তা করতে ছিনতাই ও অপহরণ নাটকে ফন্দি আঁটতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান কিংবা থানায় অভিযোগ না করে গত ১৯/৯/২২ তারিখে সাতক্ষীরার আদালতে আরিফুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম ও আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অপহরণের চেষ্টা ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধারায় সিআর ৪৭২/২২ (কালিঃ) মামলা দায়ের করে। বর্তমানে ছেলেসহ তিনভাই জেলে প্রহর গুনছে। অথচ মামলার স্বাক্ষীরা এমন ঘটনা ঐরাত্রে ঘটেনি বলে জানান গনমাধ্যমকর্মীদের সাথে। সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীগন সরেজমিনে গেলে মেয়েকে বন্দী রেখে নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতা মেলে। অপরদিকে মেয়ে শাহানাজ মুন্নীকে ছেলে আরিফুলকে ভুলে থাকার চেষ্টায় ঘরে তালাবন্দী করে অবর্ননীয় কষ্ট দিচ্ছে তার পিতা মাতা এমন চিরকুটে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সত্যতা জানতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান মেয়ের ও ছেলের সাথে সম্পর্কের কথাটা শুনেছি, তাদের উভয়ের সম্মতিতে বিয়েও হয়। কিন্তু মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি। একপর্যায়ে মেয়েকে দিয়ে কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্স করায। এরপরে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ফাঁসাইছে। আসলে এমন কোনো ঘটনা আমার এলাকায় ঘটেনি। মামলার স্বাক্ষী নলতা গ্রামের মোজাহার আলীর পুত্র আলম হোসেন ও রহমত আলী বলেন মেয়ের সাথে ছেলের সম্পর্ক ও বিয়ের ঘটনা জানি তবে ছিনতাই কিংবা অপহরণের বিষয়টি আমরা দেখেনি, মেয়ের বাবার মুখে শুনেছি। এঘটনায় কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ হালিমুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন মেয়েকে ঘরে বন্দী রাখার বিষয়টি জানতে পেরে থানার উপ পরিদর্শকসহ ফোর্স পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগ পাইলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *