কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিএনপি’র বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ এবং মটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে সাংবাদিক আহম্মদ উল্যাহ বাচ্চু, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আজিজসহ ৪জন। ঘটনাটি সোমবার (২৭ জানুয়ারি-২৫) বিকাল ৫ টার দিকে তারালী মোড়ে শুরু হয়ে ব্রিজের উপরে ঘটেছে। অবস্থার বেগতিক দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অনুজা মন্ডল ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, কমিটি গঠনের পক্ষে বিপক্ষে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী পালনে বিএনপির পৃথক দুই গ্রুপ মিছিল ও সমাবেশ শুরু করে সোমবার (২৭ জানুয়ারী) বিকেল ৪টা থেকে। শেখ এবাদুল ইসলামের নেতৃত্বে কাকশিয়ালী ব্রিজের উত্তর পারে জমায়েত হয়ে মিছিল সহকারে তারালী মোড়ে সমাবেশ করতে থাকে। অপরদিকে বিএনপির ডাঃ শহিদুল আলম গ্রুপের শেখ নুরুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম, খোকন মেম্বার, আব্দুল আজিজ ও এসএম বাবু গ্রুপের মিছিল তারালী মোড় থেকে শুরু করে ডাকবাংলো মোড় ঘুরে পুনঃ তারালী মোড়ে এসে শেখ এবাদুল ইসলাম গ্রুপের সমাবেশস্থলে আসে এবং ভুয়া ভুয়া শ্লোগান দিতে দিতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। মুহুর্তের মধ্যে উভয়ের গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা পরিস্থিতি লক্ষ্য করে শেখ এবাদুল ইসলাম সমাবেশ শেষ করে সকলকে শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাবেশস্থল ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। এসময়ে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে এবং মটর সাইকেল ভাংচুর করতে থাকে। ডাঃ গ্রুপ এসময়ে ১৫/২০ খানা মটর সাইকেল ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে বলে বাবু ডাক্তার দাবী করেণ। এঘটনায় দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্চু ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল আজিজসহ ৪জন আহত হয়। এমন সময়ে ছুটে আসেন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল, সহকারী কমিশনার অমিত কুমার বিশ্বাস, থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান, ওসি তদন্ত হারুন অর রশিদ মৃধাসহ সঙ্গীয় ফোর্স ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বিবাদমান উভয়পক্ষকে নিবৃত করার একপর্যায়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল। পরবর্তী ঘোষনা না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে বলে জানান। উল্লেখ্য যে, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব ডাঃ শফিকুল ইসলাম বাবুর স্বাক্ষরিত তারালী ও চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি গত ৭ জানুয়ারী ঘোষনা করা হয়। এরপর থেকে ঐ কমিটি বিলুপ্তির দাবীতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায় সেলিমের নেতৃত্বে তারালী ও চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এরই জের ধরে সোমবারের এই ঘটনা ঘটেছে বলে সচেতন মহল মনে করেণ। শেষ খবরে উপজেলা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল জানাগেছে।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply