,

কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মানোন্নয়নে এগিয়ে

এস এম শাহাদাত,কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নাগরিক সেবায় বেশ এগিয়ে, বিভিন্ন ওয়ার্ডে আধুনিকায়নের পাশাপাশি ক্যাম্পাসে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বৃক্ষ রোপন চলমান আছে। সরকারি পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সাতক্ষীরা -৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হক মহোদয়ের নির্বাচনী আসনের এ হাসপাতালটি অনন্য সেবা দিয়ে কৃতিত্ব অর্জন করেছে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখাযায়, হাসপাতালে বিগতদিনের তুলনায় অনেক ভাল পরিবেশ। হাসপাতালের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচ এফপিও) ডা. বুলবুল কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, চলতি বছরের শুরু থেকেই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আমি যোগদানের শুরু থেকে কাজ করে আসছি। অল্প কিছুদিন হয়েছে আমি এসেছি। আমরা মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ১/২ ‘শ থেকে ৩’শ রোগীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীদের মানসম্মত উপায়ে চিকিৎসা, কর্মরতদের যথাসময়ে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও কমিউনিটি ক্লিনিকে যথাযথ সেবাসহ বিভিন্ন মানদণ্ডে উন্নিত করণে কর্মবন্টন নির্ধারণ করা হয়। হাসপাতালের ইপিআই শেখ মশিউর রহমান এ প্রতিনিধিকে বলেন এ উপজেলায় ৩ লক্ষ ৪ হাজার ৯’শ ৫১ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। যা জেলার মধ্যে আনুপাতিকহারে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক। হাসপাতালের আয় ও ব্যায়ের হিসাব বিবরণীতে স্বচ্ছতা এনেছি। হাসপাতালের আর্থিক ফান্ড এখন দৃশ্যমান।

সূত্র জানায়, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি, অধিক রোগীদের সেবা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নয়নাভিরাম ভেষজ ও ফুল, ফলের বাগান, বিনামূল্যে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহের কারণে সরকারি এ হাসপাতালের ওপর মানুষের আস্থা বেড়েছে। ৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তুলনামূলক ভাবে জনবল নেই। বর্তমানে এ হাসপাতালে দশটি পদে কনসালটেন্ট থাকার কথা কিন্তু আছেন মাত্র দুইজন। দুটি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও তার একটি বিকল হয়ে পড়ে আছে গ্যারেজে। অত্যাধুনিক এক্সে মেশিন থাকলেও সেটা বিকল।
হাসপাতাল ক্যাম্পাসের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন পরিষ্কার করলেও প্রাচীর ঘেঁষে কিছু অসাধু লোক দোকানঘর নির্মান করায় পানি সরানো সম্ভব হচ্ছে না। পাশের নদী কিংবা খালের সাথে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না করলে ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা। প্রয়োজন জনপ্রতিনিধি ও সরকারের যথাযথ উদ্যোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *