অগ্রদূত ডেস্কঃ পদ্মা সেতু এলাকার নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আগামীকাল মঙ্গলবার দুই পারে উদ্বোধন হবে নতুন দুটি থানা। মুন্সিগঞ্জ প্রান্তে স্থাপিত থানার নাম পদ্মা সেতু উত্তর এবং শরিয়তপুর প্রান্তের থানার নাম পদ্মা সেতু দক্ষিণ। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি থানা দুটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই থানা দুটির কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ সোমবার পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, আগামীকাল বেলা তিনটায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উত্তর থানা ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। একই সময় তিনি (প্রধানমন্ত্রী) পুলিশ নির্মিত ১২০টি ঘর হস্তান্তর (দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত) করবেন।
এ ছাড়া ১২টি পুলিশ হাসপাতাল আধুনিকায়ন ও ছয়টি নারী ব্যারাক এবং অনলাইন জিডি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গমনাগমন ও অবস্থানকালে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে সেতুসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থল এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবে।
আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হচ্ছে পদ্মা সেতু এলাকা। এ লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সেতুর আশপাশের সড়কগুলোতে বসানো হচ্ছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। বাড়ানো হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে গোয়েন্দা নজরদারি, সাইবার মনিটরিং এবং পেট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সমাবেশস্থল ঘিরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের কঠোর নজরদারি চলছে।
জানা গেছে, প্রায় ৩২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন দুই থানার চারতলা ভবন দুটি নির্মাণ করেছে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ। একজন সহকারী পুলিশ সুপারসহ ৪০ জন করে পুলিশ সদস্য থাকবেন প্রতিটি থানায়।
সংযোগ সড়কের টোল প্লাজার পাশে থানা ভবনের অবকাঠামো নির্মাণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সেতুর দুই প্রান্তেই দুটি করে ইউনিয়ন এই থানা দুটির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। লৌহজংয়ের মাওয়া প্রান্তের থানার আওতায় থাকবে মেদিনীমণ্ডল ও কুমারভোগ ইউনিয়ন। জাজিরা পয়েন্টের থানার আওতায় থাকবে পূর্ব নাওডোবা ও পশ্চিম নাওডোবা ইউনিয়ন।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply