বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে কি না সে বিষয়ে আদেশের আগামী ২৯ আগস্ট তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার(১৬ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালতে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করতে পরোয়ানা জারির আবেদন করেন মামলার বাদী বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
শুনানি শেষে আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করে ২৯ আগস্ট আদেশ দেবেন বলে জানান বাদী এ বি সিদ্দিকী।
মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী বলেন, “মামলাটিতে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে গত ৩০ জুন প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস। আজ মামলাটির ধার্য তারিখ ছিল। আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করি। আদালত আগামী ২৯ আগস্ট আদেশের তারিখ নির্ধারণ করেছেন।”
গত ১১ জুলাই মানহানির একটি মামলায় খালেদা জিয়া এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে একই আদালত পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ওই মামলার বাদীও এ বি সিদ্দিকী। গত বছরের ২৫ জানুয়ারি আদালতে মামলাটি করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিক।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা না চেয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব চেয়েছিলেন। জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ায় এ দেশের জনগণ যুদ্ধে নেমেছিল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে কোন উন্নতি হয় নাই। সারা দেশে উন্নয়নের নামে দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। এছাড়া, আওয়ামী লীগ দলীয় লোকদের জঙ্গি বানিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেত্রী।
এদিকে, তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়া তার বক্তব্যের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সমালোচনা ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করে সরকারের ভাবমূর্তি জনসমক্ষে ক্ষুন্ন করাসহ সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ভীতি প্রদান করেছেন।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply