,

গোপালগঞ্জের মধুমতি নদীর জয়নগর ফেরী ঘাট উদ্বোধন , দুই জেলার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন

লুৎফর সিকদার,গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:গোপালগঞ্জের মধুমতি নদীর জয়নগর ফেরী ঘাট উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে এই ফেরী ঘাটের শুভ উদ্বোধন করেন। ফেরী চলাচলের ফলে, দুই জেলার উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহন সহজতর হবে, যা স্থানীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন প্রশাসনসহ স্থানীয়রা।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানশাহী ইউনিয়নের জয়নগর খেয়া ঘাট। দীর্ঘ সময় ধরে, নড়াইল জেলার নড়াগাতি ও কালিয়া উপজেলার হাজার হাজার মানুষ এই ঘাট দিয়ে খেয়া নৌকায় পাড়াপাড় হয়ে গোপালগঞ্জে আসতেন। যাতায়াতে এবং মালামাল নিয়ে পাড়াপাড়ে প্রচুর অসুবিধা হওয়ায়, দুই জেলার মানুষের সুবিধার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্যোগে এই ফেরী চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মধুমতি নদীর নতুন এই ফেরী ঘাটের উদ্বোধনের ফলে নদীর পশ্চিমপাড় নড়াইল ও গোপালগঞ্জ জেলার মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে ব্যাপক সুবিধা হয়েছে। এছাড়া, দুই জেলার উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহন সহজ হয়েছে, যা স্থানীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা মনে করছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম রকিবুল হাসান, গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অনুজ কুমার দে, ফরিদপুর ফেরী বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাউর রহমান, ফরিদপুর ফেরী বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী চিন্ময় সরকার, এবং স্থানীয় শুকতাইল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রানা মোল্লা।

গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অনুজ কুমার দে বলেন, এই ফেরী চালুর মাধ্যমে নড়াইল জেলার নড়াগাতী ও কালিয়া উপজেলার বাসিন্দাদের আর প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ ঘুরে গোপালগঞ্জ হয়ে ঢাকায় যাতায়াত করতে হবে না। সহজেই তারা এই ফেরী পারাপার হয়ে কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন, এবং চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ মেডিকেলেও আসতে পারবেন।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, দুই জেলার মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য এবং এই এলাকায় কৃষি পণ্যের বাজারজাত সহজীকরণে এই উদ্যোগটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, দুই জেলার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সহজেই পৌঁছাতে পারবেন। এতে সময় এবং অর্থ সাশ্রয় হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *