নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম চার দফা বৃদ্ধির পর এবার ১ টাকা কমেছে। চলতি মাসের জন্য এই দাম ১ হাজার ৪৫৬ টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতের অন্যান্য আকারের এলপি গ্যাসের দামও কমেছে। আর গাড়িতে ব্যবহৃত প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৬৬.৮৪ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৬৬.৮১ টাকা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নতুন দর ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) যা সন্ধা থেকেই কার্যকর হবে।
তবে সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম ৬৯০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। যদিও সারা দেশে চাহিদার তুলনায় এটি মাত্র ১ থেকে দেড় শতাংশের মতো সরবরাহ করার সক্ষমতা রয়েছে। আবার যাও সরবরাহ করা হয় তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
গত বছরের জুলাই মাসে ১২ কেজি ওজনের এলপিজির দাম ছিল ৯৯৯ টাকা। ৮ মাসের ব্যবধানে গত মার্চ মাসে সমপরিমাণ এলপিজির দাম বেড়ে ১৪৮২ টাকা দাঁড়িয়েছিল। পরবর্তীতে ওই দাম কোনো মাসে বেড়েছে আবার কমেছে কোনো মাসে।
এলপিজি মূলত প্রোপেন ও বিউটেন এর একটি মিশ্রিত অনুপাত। এই দুটিই আমদানি করা হয়। সৌদি আরামকোর ঘোষিত মূল্য (সৌদি সিপি) ধরে প্রতি মাসে দেশে এলপি গ্যাসের দাম ঠিক করে বিইআরসি। দেশে ২০টি কোম্পানি এলপিজির কাঁচামাল আমদানি করে। দাম নির্ধারণে ডলারের মূল্যও একটি ভূমিকা রাখে।
যদিও বাজারে কমিশনের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো বেশি দাম এলপিজি বিক্রি করছেন বলে দীর্ঘদিন ধরেই ভোক্তারা অভিযোগ করে আসছেন। এক্ষেত্রে বিইআরসির বক্তব্য হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে তদারকি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বাসাবাড়িতে পাইপলাইনে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকটের কারণে গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার বাড়ছে। এই বাজারের অন্তত ৯৯ শতাংশ বেসরকারি খাতের দখলে।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply