,

‘জজ সাহেব! ট্রাইব্যুনাল যেন চালু থাকে, হাসিনার বিচারও একদিন হবে’: সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী

ডেস্ক রিপোর্টঃমানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে দেড় দশক আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিলেন শেখ হাসিনা। এবার সে আদালতেই নিজের ফাঁসির রায় শুনলেন তিনি। আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল ঐতিহাসিক এ রায় ঘোষণা করেন।

২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ক্ষমতাচ্যুত এই প্রধানমন্ত্রী। আদালতের সমন জারির পরও হাজির না হওয়ায় তার অনুপস্থিতিতেই মামলার রায় পড়ে শোনান ট্রাইব্যুনাল। রায়ে আদালত বলেছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন শেখ হাসিনা। ওই সময়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালটি গঠন করা হয়। ওই ট্রাইব্যুনালের রায়ে ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির ডজনখানেক শীর্ষ নেতা ফাঁসি কার্যকরসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করেন। যদিও ওই সময় বিচারপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে বিচারকার্য চলাকালে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী একবার বলেছিলেন, ‘জজ সাহেব! এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যেন চালু থাকে, এখানে একদিন হাসিনারও বিচার হবে…।’ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঠিক১০ বছর পর এই ট্রাইব্যুনালেই হাসিনার ফাঁসির রায় দেওয়া হল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *